গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণে বিশদ পরিকল্পনা উপস্থাপন মিশরের
Published: 4th, March 2025 GMT
গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণের জন্য বিশদ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে মিশর। মঙ্গলবার কায়রোতে আরব দেশগুলোর নেতাদের সম্মেলনে এ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ান।
জানুয়ারিতে গাজা বিষয়ে এক বিস্ফোরক পরিকল্পনার প্রস্তাব করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে তিনি গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা হিসেবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছিলেন। তার এই প্রস্তাব ফিলিস্তিনসহ আরব দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছিল। ট্রাম্পের সেই পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার মিশর ৫৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, মিশরের পরিকল্পনার প্রথম ধাপে রয়েছে, অবিস্ফোরিত গোলা অপসারণ শুরু করা এবং ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ও সামরিক আক্রমণের ফলে অবশিষ্ট পাঁচ কোটি টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা। পুনর্গঠনের সময় গাজার জনগণ যেখানে থাকতে পারবে, সেখানে লাখ লাখ অস্থায়ী আবাসন ইউনিট গড়ে তোলা হবে। ধ্বংসস্তূপ পুনর্ব্যবহার করা হবে এবং এর কিছু অংশ গাজার ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে বিস্তৃত ভূমি তৈরির জন্য ব্যবহার করা হবে।
পরবর্তী বছরগুলোতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে ‘টেকসই, সবুজ ও হাঁটার উপযোগী’ আবাসন এবং নগর এলাকা নির্মাণের মাধ্যমে এই অঞ্চলটিকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করা হবে। মিশরের পরিকল্পনায় কৃষিজমি সংস্কার এবং শিল্প অঞ্চল বৃহৎ পার্ক এলাকা তৈরির কথা বলা হয়েছে। এছাড়া গাজায় একটি বিমানবন্দর, একটি মাছ ধরার বন্দর এবং একটি বাণিজ্যিক বন্দর খোলার কথা বলা হয়েছে।
নব্বইয়ের দশকে অসলো শান্তি চুক্তিতে গাজায় একটি বিমানবন্দর এবং বাণিজ্যিক বন্দর খোলার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু শান্তি প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ার সাথে সাথে প্রকল্পগুলি ভেস্তে যায়।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তিরিশের বেশি বয়সীদের ব্রেনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন
বয়স তিরিশের বেশি হলেই ব্রেনের যত্নে আমাদের আরও বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। কারণ এই সময় অনেকগুলো হরমোনের উৎপাদন কমে যায়, ফলে শরীর ও ব্রেনে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়। মনোবিদরা বলছেন, তিরিশের বেশি বয়সীদের ব্রেনের যত্নে ৫ টি দিক খেয়াল রাখা উচিত।
১.তিরিশের বেশি বয়সীদের শরীরের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রোটিন। আর ব্রেনের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ডি এবং ম্যাঙ্গানিজ। পর্যান্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি এবং ম্যাঙ্গানিজের অভাবে ব্যক্তি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন। রাগ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ যেকোন কিছু মনে করা কঠিন হতে পারে। সুতরাং এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত যা শরীর এবং ব্রেনের জন্য ভালো।
২. আধুনিক জীবনে ব্যস্ততার অভাব নেই। তিরিশের পরে ক্যারিয়ার, ফ্যামিলি, দায়িত্ব নিয়ে ব্রেনে ক্রমাগত উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এ সময় আপনি যদি আপনার ব্রেনকে বিশ্রাম না দেন, তাহলে ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেমন একটি ট্রেনকে বিশ্রাম দিতে হয়, ব্রেনকেও সেভাবে বিশ্রাম দিন। স্ক্রিন টাইম কমিয়ে ফেলুন। হাসি-খুশি থাকার উপায় খুঁজে নিন।
আরো পড়ুন:
তরমুজের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা
আমরা কেন ঘুমাই
৩. তিরিশ বছরের পরে ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেস্টোস্টেরন জাতীয় হরমোনের উৎপাদন কমতে শুরু করে। যার প্রভাব পরে ব্যক্তির মন ও মেমোরির ওপর। এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য ব্যায়াম করা জরুরি। ভার উত্তোলন—এর মতো ব্যায়াম বেশি উপকারী।
৪. তিরিশের পরে মন সব সময় শান্ত রাখা কঠিন। সুতরাং মেন্টাল ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য একটি রুটিন ফলো করতে পারেন। মেডিটেশন, জার্নালিং, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন।
৫. লাভ হরমোন ‘অক্সিটোসিন’ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করে। যার ফলে ব্যক্তি অনেক বেশি একাকীত্ববোধ করেন, বিরক্তির প্রকাশ ঘটান। এই সময় পারিবারিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিন।
সূত্র: আভাসা মেন্টাল হেলথ থেকে অনূদিত
ঢাকা/লিপি