গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণে বিশদ পরিকল্পনা উপস্থাপন মিশরের

গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণের জন্য বিশদ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে মিশর। মঙ্গলবার কায়রোতে আরব দেশগুলোর নেতাদের সম্মেলনে এ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ান।
জানুয়ারিতে গাজা বিষয়ে এক বিস্ফোরক পরিকল্পনার প্রস্তাব করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে তিনি গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা হিসেবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছিলেন। তার এই প্রস্তাব ফিলিস্তিনসহ আরব দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছিল। ট্রাম্পের সেই পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার মিশর ৫৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, মিশরের পরিকল্পনার প্রথম ধাপে রয়েছে, অবিস্ফোরিত গোলা অপসারণ শুরু করা এবং ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ও সামরিক আক্রমণের ফলে অবশিষ্ট পাঁচ কোটি টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা। পুনর্গঠনের সময় গাজার জনগণ যেখানে থাকতে পারবে, সেখানে লাখ লাখ অস্থায়ী আবাসন ইউনিট গড়ে তোলা হবে। ধ্বংসস্তূপ পুনর্ব্যবহার করা হবে এবং এর কিছু অংশ গাজার ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে বিস্তৃত ভূমি তৈরির জন্য ব্যবহার করা হবে।
পরবর্তী বছরগুলোতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে ‘টেকসই, সবুজ ও হাঁটার উপযোগী’ আবাসন এবং নগর এলাকা নির্মাণের মাধ্যমে এই অঞ্চলটিকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করা হবে। মিশরের পরিকল্পনায় কৃষিজমি সংস্কার এবং শিল্প অঞ্চল বৃহৎ পার্ক এলাকা তৈরির কথা বলা হয়েছে। এছাড়া গাজায় একটি বিমানবন্দর, একটি মাছ ধরার বন্দর এবং একটি বাণিজ্যিক বন্দর খোলার কথা বলা হয়েছে।
নব্বইয়ের দশকে অসলো শান্তি চুক্তিতে গাজায় একটি বিমানবন্দর এবং বাণিজ্যিক বন্দর খোলার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু শান্তি প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ার সাথে সাথে প্রকল্পগুলি ভেস্তে যায়।
ঢাকা/শাহেদ