রোজমেরি চিকেনসহ যেসব খাবার না খেয়েই হোয়াইট হাউস ছেড়েছিলেন জেলেনস্কি
Published: 3rd, March 2025 GMT
হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে গত শুক্রবার শেফরা ব্যস্ত হাতে প্লেটে খাবার সাজাচ্ছিলেন। ওই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে বৈঠক করছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বৈঠক শেষ হলেই রাষ্ট্রীয় অতিথিদের পরিবেশন করা হবে খাবার। শেফরা তাঁদের আয়োজন প্রায় গুছিয়ে এনেছেন। অতিথিদের জন্য তৈরি হয়ে গেছে রোজমেরি চিকেন, সেলেরি রুট পিউরি ও কোলার্ড গ্রিন।
হঠাৎই ওভাল অফিসের পরিবেশ পাল্টে যায়। সেখানে বৈঠকে বসা নেতাদের উচ্চকণ্ঠে বাগ্বিতণ্ডার আওয়াজ তখন বাইরেও ভেসে আসছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। জেলেনস্কিও পাল্টা জবাব দিচ্ছিলেন, পাল্টা কথা বলছিলেন।
ইউক্রেনের সমর্থকদের জন্য ওই সময়টি ছিল দারুণ বিপর্যয়কর। দুই একগুঁয়ে নেতা মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে সব আয়োজন ভণ্ডুল করে দিয়েছিলেন।
প্লেটে সাজানো রোজমেরি চিকেন, সেলেরি রুট পিউরি, কোলার্ড গ্রিন তেমনই পড়ে রইল।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তি সইয়ে প্রস্তুত ইউক্রেন: জেলেনস্কি৭ ঘণ্টা আগেট্রাম্প ও ভ্যান্সের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার পর জেলেনস্কি আর খুব বেশি সময় হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণে অবস্থান করেননি। তিনি তাঁর দলবল নিয়ে বেরিয়ে যান। কেউ কেউ দাবি করেছেন, জেলেনস্কিকে একরকম বের করে দেওয়া হয়েছিল। জেলেনস্কি সেদিন মোট ১৩৯ মিনিট হোয়াইট হাউসে অবস্থান করেছিলেন।
আরও পড়ুনজেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে কীভাবে বের করে দেওয়া হয়, জানালেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা১৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদ নিয়ে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করতে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি। সেই অনুযায়ী যান হোয়াইট হাউসে। দুই নেতার চূড়ান্ত আলোচনার পর চুক্তি সই হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছিল।
কিন্তু ওভাল অফিসে বাগ্বিতণ্ডার পর সবকিছু ভেস্তে যায়, জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সেদিনই যুক্তরাজ্যের পথে রওনা হন।
আরও পড়ুনবৈঠকের আগে মার্কিন কর্মকর্তাদের দেওয়া পরামর্শ কানে তোলেননি জেলেনস্কি১৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ওরফে তারাপদ- এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার পালিত হয়েছে। দিনটি স্মরণে তাঁর ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবনে গীতাপাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া দুপুরে স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ও ফরিদপুরে শ্রীঅঙ্গনে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালের ২ এপ্রিল ৯৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
১৯২৮ সালের ৬ আগস্ট মানিকগঞ্জের কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্ম হয় জগদীশ চন্দ্র ঘোষের। ১৯৭১ সালের ২ মে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তাঁর পরিবার। ওই দিন তাঁর বাবা যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, ভাই গৌরগোপাল ঘোষ ও কাকাতো ভাই বাবলু ঘোষ গণহত্যার শিকার হন।
জগদীশ চন্দ্র ঘোষ শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতেন। দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নাটকসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন তিনি।