যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “এটি ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য বিরল মুহূর্ত। কারণ ইউক্রেনের জন্য একটি ভালো ফলাফল পাওয়া কেবল সঠিক বা ভুলের ব্যাপার নয়; এটি এখানকার প্রতিটি জাতির এবং আরো অনেক দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

রবিবার লন্ডনে ইউক্রেন নিয়ে ইউরোপীয় মিত্রদের শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার পর হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প ইউক্রেনকে মার্কিন সামরিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

স্টারমার তার বক্তৃতায় জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের জন্য একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে চান যেখানে “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা করা হবে এবং একসাথে এটি এগিয়ে নেওয়া হবে।”

তিনি বলেন, শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে “আমরা কীভাবে একসাথে ন্যায্য, স্থায়ী শান্তি দিতে পারি এবং কীভাবে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া যায়। কারণ রাশিয়া শান্তির কথা বললেও, তারা নিরলস আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র র জন য ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের ঢল 

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানে নেমেছে পর্যটকের ঢল। সারা দেশের অসংখ্য বিনোদনপ্রেমী ভিড় জমিয়েছেন এ জেলায়। ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের পদচারণায় মুখর।

বান্দরবান শহরের মেঘলা, গোল্ডেন টেম্পল, নীলাচলসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে, পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে আসা শিশুদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন এলাকাগুলো। অনেকেই দল বেঁধে এসেছেন, কেউবা প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটাচ্ছেন ছুটির দিনগুলো। স্থানীয় হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে।

মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে দেখা গেছে আনন্দঘন পরিবেশ। কেউ লেকের স্বচ্ছ জলে প্যাডেল বোট চালিয়ে উপভোগ করছেন প্রকৃতির ছোঁয়া, কেউ ক্যাবল কারে চড়ে পাহাড়ের ওপর থেকে নিচের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখছেন। প্রকৃতির অপরূপ রূপ দেখে মুগ্ধ সবাই। পর্যটকদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকাজুড়ে।

রাজধানী ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা আব্দুল করিম এ প্রতিবেদককে বলেন, “প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বারবার বান্দরবানে আসতে মন চায়। ঈদের ছুটিতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুরতে এসে দারুণ সময় কাটছে।”

পর্যটনকেন্দ্র নীলাচলে কথা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা হাবিবুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, এটাই আমার প্রথম বান্দরবান ভ্রমণ। এখানে না এলে বুঝতেই পারতাম না, এত সুন্দর পরিবেশ কেমন লাগে। ঢাকাতে যারা থাকে, এখানে না আসলে কিছুই বুঝবে না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে বিপুল পরিমাণ পর্যটকের আগমন তাদের জন্য আশীর্বাদ। রিসোর্ট ও হোটেলগুলোর ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। কিছু কিছু রিসোর্ট ও হোটেলে ২ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত শতভাগ রুম বুকিং হয়েছে।

হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, শহরের সব হোটেল শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। ভারতে ভ্রমণ বন্ধ থাকায় কিছু বিদেশি পর্যটকও বান্দরবানে আসছেন। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আনন্দিত।

বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি নিত্যানন্দ দাস বলেন, ঈদের ছুটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ সমন্বিতভাবে কাজ করছে, যাতে পর্যটকরা নিরাপদে ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, বান্দরবান জেলায় পর্যটনকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে থাকি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সজাগ আছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সচেতন। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারেন, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।

ঢাকা/চাইমং/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ