Risingbd:
2025-04-02@09:26:43 GMT

ঘরের ছেলের ছোবলে হারল রিয়াল

Published: 2nd, March 2025 GMT

ঘরের ছেলের ছোবলে হারল রিয়াল

রিয়াল মাদ্রিদের হলো কী? একটা সময় মনে হচ্ছিল হেসে খেলেই  লা লিগার শিরোপা ধরে রাখবে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে হঠাৎ ছন্দ হারায় লস ব্ল্যাঙ্কসরা। শেষ ৪ ম্যাচে মাত্র এক জয় নিয়ে শনিবার (১ মার্চ, ২০২৫) রিয়াল বেটিসের মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারল না ‘মাদ্রিদের সাদারা’। সব মিলিয়ে শেষ ৫ ম্যাচে মাত্র একটি জয়ে নিজেদের অবস্থা আরও ঘোলাটে করল আনচেলত্তির শিষ্যদের।

বেটিসের মাঠ বেনিতো ভিয়ামারিয়াতে গিয়ে ছন্দহীন ফুটবল খেলে রিয়াল। ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। উল্টো এক সময়ের ঘরের ছেলে ইসকোর নৈপুন্যে ২-১ ব্যবধানে হেরে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে বড়সড় হোঁচট খেল রিয়াল। হারাতে হলো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান।

ম্যাচের ১০ মিনিটেই গোলের দেখা পায় রিয়াল। এটাকিং মিডফিল্ডার ব্রাহিম দিয়াজ লস ব্ল্যাঙ্কসদের এগিয়ে দেন। ৩৪ মিনিটে ইসকোর পাস থেকে বেটিসকে সমতায় ফেরান জনি কারদোসো। বিরতির পর খেলা শুরু হলে ৯ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি এক সময়ের মাদ্রিদিস্তা ইসকো।

আরো পড়ুন:

রিয়ালের ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন নেইমার

সোসিয়েদাদ দর্শকদের অসহিষ্ণুতা, ম্যাচের পার্থক্য গড়লেন এনদ্রিক 

এই ম্যাচে গোলের পর উল্লাস করে সমালোচনার জন্ম দিলেন ইসকো। এই ৩২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ২০১৩ সালের জুলাইয়ে মালাগা থেকে রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন। ইসকোকে প্রাধান্য দিয়ে কম্বিনিশান ঠিক রাখতেই লস ব্ল্যাঙ্কসরা ছেড়ে দেয় মেসুত ওজিলের মতো মিডফিল্ডার। যে প্রত্যাশা নিয়ে ইসকোকে রিয়ালে আনা হয়েছিল তার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। রিয়ালের জার্সিতে ৫ চ্যাম্পিয়নস লিগের পাশাপাশি ৩ লা-লিগা শিরোপা জেতেন তিনি। তবে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে এভাবে উদযাপনকে মোটেই সহজভাবে নিচ্ছে না মাদ্রিদ সমর্থকরা।

এদিকে ম্যাচ হারের পর রিয়াল বস আনচেলত্তি বলেন, “সত্যিই বড় এক ধাক্কা। আমাদের জেগে উঠা দরকার। লিগের এই পর্যায়ে হেরে যাওয়া খুব বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আমরা ভালো খেলিনি। প্রথমার্ধে আমরা ২৭ বার বল খুইয়েছি। এটা অনেক বেশি।”

রিয়ালকে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে এই মঙ্গলবারেই মাঠে নামতে হচ্ছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। আনচেলত্তি এভাবে খেললে জিততে পারবেন না তারা, “আমরা যদি এভাবে খেলি, মঙ্গলবার আমরা জিততে পারব না। ব্যাপারটা পরিষ্কার। আশা করছি হারটা আমাদের জাগিয়ে দেবে। আমাদের অনেক বেশি সংগঠিত হতে হবে।”

লা লিগায় ২৬ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেল রিয়াল। সমান ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অ্যাতলেটিকো।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

১৭০ জন আত্মীয় ও বন্ধুকে হারিয়েছেন মিয়ানমারের এই ইমাম

গত শুক্রবার মিয়ানমারের সাগাইং এলাকায় আজানের সাথে সাথে শত শত মুসলিম পাঁচটি মসজিদে গিয়েছিলেন নামাজ আদায়ের জন্য। রমজানের শেষ জুমা হওয়ায় মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের সমাগমও ছিলো বেশি।

স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি মারাত্মক ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে তিনটি মসজিদ ধসে পড়ে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ছিল মায়োমা এলাকায়। এ ঘটনায় মসজিদগুলোর ভেতরে থাকা প্রায় সবাই মারা যায়।

শত শত কিলোমিটার দূরে, থাই সীমান্তবর্তী শহর মায়ে সোতে মায়োমা মসজিদের সাবেক ইমাম সোয়ে নাইও ভূমিকম্প অনুভব করেছিলেন। পরের দিনগুলোতে, তিনি জানতে পারেন যে, তার প্রায় ১৭০ জন আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব মারা গেছেন, যাদের বেশিরভাগই মসজিদে ছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

তিনি বিবিসিকে বলেন, “আমি প্রাণ হারানো মানুষগুলোর কথা ভাবি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সন্তানদের কথাও - তাদের মধ্যে ছোট শিশুও আছে। এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময় আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না।”

মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সাগাইং ও মান্দালয়ের কাছে সংঘটিত ভূমিকম্পে ২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ বের করার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং-এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মসজিদে নামাজ পড়ার সময় প্রায় ৫০০ মুসলিম মারা গেছেন।

সাগাইংয়ের প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, শহরের যে রাস্তায় মসজিদগুলো ছিল, সেই মায়োমা স্ট্রিটই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তার আরো অনেক বাড়িও ভেঙে পড়েছে।

শত শত মানুষ রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছে, তারা এখন গৃহহীন অথবা আফটার শকের আতঙ্কে তারা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছে। 

শুধুমাত্র মায়োমাতেই, ধসে ৬০ জনেরও বেশি লোক চাপা পড়ে বলে জানা গেছে, যেখানে মায়োডাও এবং মোয়েকিয়া মসজিদে আরও অনেক লোক মারা গেছে। 

সোয়ে নাই ও জানান, অজু করার স্থানে অনেক মৃতদেহ পাওয়া গেছে। কিছু লোককে অন্যদের হাত ধরে থাকতে দেখা গেছে, যা দেখে মনে হচ্ছে ভেঙে পড়া ভবন থেকে তাদের টেনে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল।

সামরিক জান্তা এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলির মধ্যে চলমান লড়াইয়ের কারণে সাগাইংয়ের পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। সাগাইংয়ের মুসলিম কবরস্থানটি বিদ্রোহী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকার কাছে অবস্থিত এবং বেশ কয়েক বছর ধরে জনসাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে। ভূমিকম্পের পর থেকে সেনাবাহিনী বৃহত্তর সাগাইং অঞ্চলের কিছু অংশে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।

সোয়ে নাই ও-এর মতে, সাগাইং শহরের মুসলিম সম্প্রদায়কে তাদের মৃতদেহ মান্দালয়ে স্থানান্তর করতে হয়েছে। তাদেরকে দুই শহরের সংযোগকারী একমাত্র সেতু ব্যবহার করে ইরাবতী নদী পার হতে হয়েছে।

তাদের মৃতদেহ দাফনের জন্য মান্দালয়ের সবচেয়ে বড় মসজিদে রেখে যাওয়া হচ্ছে। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ