‘আমরা ছয়জন মিলে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে একটি মোটরসাইকেল কিনে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। পথে রামকৃষ্ণপুর এলাকায় একটি কালভার্টের ওপর চার-পাঁচজন ডাকাত দাঁড়িয়ে ছিল। একসঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেলে হেডলাইটের আলো দেখে পুলিশ ভেবে বোমা ফেলে পালিয়ে যায় তাঁরা।’

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় একটি কালভার্টের ওপর থেকে তিনটি হাতবোমা উদ্ধারের ঘটনাটি এভাবে বর্ণনা করছিলেন রাশেদুজ্জামান নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া-তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামীণ সড়কের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, বিষয়টি জানিয়ে গাংনী থানা-পুলিশকে খবর পাঠালে তারা ঘটনাস্থল থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, ওই সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একটি চক্র। একসঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেল দেখে তারা পুলিশ মনে করে বোমাগুলো ফেলে পালিয়ে যায়। লাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি হাতবোমা উদ্ধারের পর থানায় আনা হয়েছে। এগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে।

এ বিষয়ে আরও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাণী ইসরাইল। তিনি বলেন, ডাকাতির জন্য হাতবোমাগুলো নিয়ে কালভার্টের ওপর অপেক্ষা করছিলেন চক্রটির একাধিক সদস্য। তাঁদের অপতৎপরতা রুখতে পুলিশের অভিযান চলমান। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে কিংবা এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করতে বোমাগুলো ফেলা হতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিবাহ বিচ্ছেদের পথে গোবিন্দ-সুনীতা!

দীর্ঘ ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটাতে চলেছেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ ও তাঁর স্ত্রী সুনীতা আহুজা। ভারতীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরেই নানা ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করছিলেন সুনীতা। কখনও নিজের একাকিত্বের কথা জানিয়েছেন, কখনও আবার ছেলের প্রশংসা করে স্বামীকে দোষী করেছেন। এবার দাম্পত্যে ইতি টানার পথে তারা। যদিও তাদের পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠরা মানতে নারাজ গোবিন্দ-সুনীতার বিচ্ছেদের কথা।

এবার তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বললেন তাদের আইনজীবী ললিত বিন্দাল। তিনি বলিউডের ‘হিরো নং ওয়ান’-এর দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধুও। ললিত সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন যে, ‘ছয় মাস আগে সুনীতা এবং গোবিন্দ ডিভোর্স মামলা দায়ের করেছেন। তবে ওদের সম্পর্ক এখনও অটুট। আর ওরা একসঙ্গেই আজীবন থাকবেন।

সেই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ছয় মাস আগের চূড়ান্ত দাম্পত্য কলহের জেরেই গোবিন্দের পায়ে সেই সময়ে গুলি লাগে? যদিও অনেকে দুটো ঘটনাকে কাকতালীয় বলে দাবি করছেন!

আইনজীবী ললিতের দাবি, ‘নিউ ইয়ারের সময়ে তো একসঙ্গে আমরা নেপালে পশুপতিনাথ মন্দিরেও গেলাম। গোবিন্দ এবং সুনীতার মধ্যে সবকিছু ঠিকই আছে। তা ছাড়া, দাম্পত্য কলহের জেরে এসব তো সবার লেগেই থাকে। তবে ওদের সম্পর্ক এখনও অটুট। ভবিষ্যতেও একইসঙ্গে থাকবেন ওরা।’

সুনীতার ম্যানেজারও তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর উড়িয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে গোবিন্দ নিজেও জানান, আপাতত তাঁর কিছু ব্যবসার কাজ রয়েছে। আগামী দিনে একটি ছবির কাজেও ব্যস্ত থাকবেন তিনি। তাই অন্য কোনো দিকে নাকি মন দেওয়ার সময় নেই তাঁর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জেন-জিদের হাত ধরে কর্মজগতে যে পরিবর্তন আসছে, আপনি কতটা মানিয়ে নিতে পারছেন
  • দুই বন্ধুর একজন বুয়েটে প্রথম, অন্যজন মেডিকেলে দ্বিতীয়
  • এক বোনের বুয়েটে আরেকজনের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ, প্রথমবার আলাদা হচ্ছেন তাঁরা
  • ইফতারের জন্য বাড়িতেই বানান হায়দরাবাদী হালিম, দেখুন রেসিপি
  • গোবিন্দর স্ত্রীর বিচ্ছেদের আবেদন, মুখ খুললেন আইনজীবী
  • বিবাহ বিচ্ছেদের পথে গোবিন্দ-সুনীতা!