‘এক ব্রোঞ্জের’ নেপালকে হারিয়ে রুপার আশা বাংলাদেশের
Published: 28th, February 2025 GMT
পাঁচ ম্যাচের কাবাডি টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচও জিতেছে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার পল্টনের আউটার স্টেডিয়ামে নেপালকে ৪৫-২৭ পয়েন্টে হারিয়ে সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতল স্বাগতিকরা।
নেপালের মতো অপেক্ষাকৃত কম শক্তির প্রতিপক্ষকে দেশের মাটিতে উড়িয়ে একটু বেশিই আশাবাদী বাংলাদেশ কাবাডি দল। যে নেপাল এসএ গেমসে এখন পর্যন্ত একটিমাত্র ব্রোঞ্জ জিতেছে, সেটি ২০১০ সালে। বাংলাদেশের চোখ এখন আগামী বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসে। তার আগে আরও কয়েকটি টেস্ট সিরিজের পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের।
নেপালকে উড়িয়ে এখন এসএ গেমসে রুপা জেতার স্বপ্ন দেখছেন অধিনায়ক মিজানুর রহমান, ‘এবার প্রস্তুতি নিয়েই গেমসে যাব। আমাদের লক্ষ্য রুপা। এমন সিরিজ খেললে নিজেদের সক্ষমতা যাচাই করা যায়।’
অনেকটা মিজানুরের সুরে কথা বলেছেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ। তাঁরও চোখ গেমসে রুপা পুনরুদ্ধার, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই এসএ গেমস, এশিয়ান গেমসে ভালো করছি না। আমাদের তো পদক নেই। এখন মূল লক্ষ্যই পদক উদ্ধার করা।’
নেপালকে উড়িয়ে এখন এসএ গেমসে রুপা জেতার স্বপ্ন দেখছেন অধিনায়ক মিজানুর রহমান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নলছিটিতে সাব-রেজিস্ট্রারের ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি
নলছিটি উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদ জাহান মুনার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে টানা তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন উপজেলার সকল দলিল লেখক। তাদের অভিযোগ, সাব-রেজিস্ট্রার মুনা যোগদানের পর থেকেই দলিল লেখকদের কাছ থেকে শ্রেণিভেদে অতিরিক্ত কমিশনের টাকা আদায় করে আসছেন। এমনকি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাগজপত্র চেয়ে দলিল সম্পাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন তিনি।
দলিল লেখকরা আরও দাবি করেন, নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে পাঁচ দিন অফিস করার কথা থাকলেও সাব-রেজিস্ট্রার মুনা সপ্তাহে মাত্র দুই দিন উপস্থিত থাকেন এবং তাও আবার দুপুরে এসে বিকেলে অফিস থেকে চলে যান। গত ১৩ এপ্রিল এক দলিল লেখকের আইডি সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর থেকে তারা দলিল সম্পাদনে বিরত থাকার ঘোষণা দেন।
২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ অনির্দিষ্টকালীন কর্মবিরতির ফলে নলছিটি উপজেলায় জমি ক্রয়-বিক্রয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কয়েক হাজার জমির ক্রেতা-বিক্রেতা ভোগান্তিতে পড়েছেন এবং সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। প্রবাসী, দূরদূরান্ত থেকে আসা সেবা প্রত্যাশী ও স্থানীয়রা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন লিটন জানান, সাব-রেজিস্ট্রারের হয়রানিমূলক আচরণের প্রতিবাদে এ কর্মবিরতি চলছে এবং কোনো সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত তা চলবে।
অন্যদিকে,অভিযোগ অস্বীকার করে সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদ জাহান মুনা বলেন, এক দলিল লেখক এডিটকৃত ভোটার আইডি দিয়ে দলিল করতে চাওয়ায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। সেই কারণেই লেখকরা একজোট হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।
জেলা রেজিস্ট্রার মো. মহসিন জানান, এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।