পাঁচ ম্যাচের কাবাডি টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচও জিতেছে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার পল্টনের আউটার স্টেডিয়ামে নেপালকে ৪৫-২৭ পয়েন্টে হারিয়ে সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতল স্বাগতিকরা।

নেপালের মতো অপেক্ষাকৃত কম শক্তির প্রতিপক্ষকে দেশের মাটিতে উড়িয়ে একটু বেশিই আশাবাদী বাংলাদেশ কাবাডি দল। যে নেপাল এসএ গেমসে এখন পর্যন্ত একটিমাত্র ব্রোঞ্জ জিতেছে, সেটি ২০১০ সালে। বাংলাদেশের চোখ এখন আগামী বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসে। তার আগে আরও কয়েকটি টেস্ট সিরিজের পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের।

নেপালকে উড়িয়ে এখন এসএ গেমসে রুপা জেতার স্বপ্ন দেখছেন অধিনায়ক মিজানুর রহমান, ‘এবার প্রস্তুতি নিয়েই গেমসে যাব। আমাদের লক্ষ্য রুপা। এমন সিরিজ খেললে নিজেদের সক্ষমতা যাচাই করা যায়।’

অনেকটা মিজানুরের সুরে কথা বলেছেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ। তাঁরও চোখ গেমসে রুপা পুনরুদ্ধার, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই এসএ গেমস, এশিয়ান গেমসে ভালো করছি না। আমাদের তো পদক নেই। এখন মূল লক্ষ্যই পদক উদ্ধার করা।’

নেপালকে উড়িয়ে এখন এসএ গেমসে রুপা জেতার স্বপ্ন দেখছেন অধিনায়ক মিজানুর রহমান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্পিডবোটে এসে এলোপাতাড়ি গুলি, পালানোর সময় গণধোলাইয়ে নিহত ২ ডাকাত

শরীয়তপুরের আঙ্গারিয়া এলাকায় ডাকাত দলের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ধরে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে দুজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার জয়নাল মিয়ার ছেলে ও বাল্কহেড শ্রমিক মাসুম মিয়া, নাজিরপুর উপজেলার কালিকাঠী এলাকার আনিস ফকিরের ছেলে ও বাল্কহেড শ্রমিক আলামিন (১৯ ও শরীয়তপুরের পালং থানার ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া (৩৫)। আরেকজনের নাম জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে একটি স্পিডবোটে করে একদল ডাকাত আঙ্গারিয়া এলাকায় প্রবেশ করে। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।

ডাকাতির খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা সতর্ক হয়ে যান। পালানোর সময় ডাকাতরা রামগঞ্জ এলাকা দিয়ে নদীপথে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে নদীপথ আটকে দেয়। বাধা পেয়ে ডাকাতরা স্পিডবোট তীরে রেখে পালানোর চেষ্টা করলে জনতা তাদের ধাওয়া করে সাত জনকে ধরে ফেলে এবং গণধোলাই দেয়।

ঘটনার পর আহতদের দ্রুত শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ডাকাতদলের দুই জন নিহত হয়েছে বলে জেনেছি। এছাড়া তাদের পাঁচ সদস্যকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করা হয়েছে। তারা বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় স্থানীয়রাও আহত হয়েছেন। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ