গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নেওয়া মামলার ৫ আসামি কারাগারে
Published: 28th, February 2025 GMT
গ্রাহকদের ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সাতক্ষীরার প্রগতি এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক প্রণনাথ দাস ও তার স্ত্রী সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইতি রানী বিশ্বাসসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৭ (দেবহাটা) এ আসামিরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তনিয়া মন্ডল তনি আসামিদের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার উত্তর সখিপুর গ্রামের তাপস চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী রিংকু রানী বিশ্বাস বাদী হয়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ২৯ তারিখে মামলাটি করেন।
আরো পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
পিলখানা হত্যাকাণ্ড
১৬ বছরেও শেষ হয়নি বিস্ফোরক মামলার বিচার
রিংকু রানী বিশ্বাস জানান, তিনিসহ তার এলাকার শতাধিক গ্রাহকদের অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রাণনাথ দাস। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় শহরের কামালনগর এলাকার প্রগতি নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালক প্রানাথ দাস। শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় মন্দিরের পাশে রয়েছে তার আলিশান বাড়ি। সেখানে তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন।
গ্রাহকদের আমানতের টাকা ও লভ্যাংশ ফেরত দিতে প্রাণনাথ দাস গড়িমশি শুরু করেন। পরে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। আমানতকারীদের কেউ কেউ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাননি।
তিনি আরো জানান, ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর শত শত গ্রাহক প্রগতি কার্যালয়ে এসে দেখেন কেউ নেই অফিসটিতে। তার (প্রানাথ দাস) বাড়িও ছিল তালা মারা। গ্রহকরা তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভও করেন। ২০২৪ সালের ১৯ মার্চ ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা এলাকায় পুলিশের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। এরপর সেখানে কয়েক মাস কারাভোগের পর দেশে ফিরে সাতক্ষীরার সদর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। কিছুদিন কারাভোগের পর তিনি আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রাণনাথ ও স্ত্রীসহ তার সহযোগী ৫ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।
বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রায় ১০টির বেশি মামলা রয়েছে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তান ক্রিকেট: সমস্যার অদ্ভুত সমাধান দিলেন হাফিজ
২০২৩ বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—টানা তিন বছরে তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের কোচ পদ থেকে বিদায় নিয়েছেন মিকি আর্থার ও গ্রান্ট ব্রাডবার্ন, ২০২৪ বিশ্বকাপের পর গ্যারি কারস্টেন। এঁদের কেউ চাকরি ছেড়েছেন, কারও চাকরি গেছে।
এবার ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যর্থতায় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আকিব জাভেদও বিদায় নিতে পারেন। আলোচনা আছে আবার বিদেশি কোচ নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। সাফল্য পাওয়ার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) একের পর এক বিদেশি কোচ, পরামর্শক ও কোচিং স্টাফ আনার বিষয়টিতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মোহাম্মদ হাফিজ।
সমস্যার সমাধানে পাকিস্তানের এই সাবেক অধিনায়ক খোঁচার সুরে বলেছেন, বিদেশি কোচ আনতে পারলে বিদেশি বোর্ড চেয়ারম্যান কেন নয়?
পাকিস্তান ক্রিকেট দলে গত এক দশকের মধ্যে কোচ, অধিনায়ক বদল হয়েছে বারবার। ২০১৯ সালে মিসবাহ উল হক থেকে শুরু করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত অন্তর্বর্তী ও স্থায়ী মিলিয়ে মোট ৯ জন প্রধান কোচ দেখেছে পাকিস্তান। প্রধান কোচের বাইরে ব্যাটিং, বোলিং, ফিজিওসহ কোচিং স্টাফের অন্যান্য পদেও পরিবর্তন এসেছে বারবার।
খেলা ছাড়ার পর পাকিস্তান দলের টিম ডিরেক্টর ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ।