গ্যাসের দাম বাড়ানোর শুনানি চলছে বিয়াম ভবনে, নিচে ক্যাবের মানববন্ধন
Published: 26th, February 2025 GMT
শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) শুনানি চলছে। রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আজ বুধবার সকালে এ শুনানি হচ্ছে। এদিকে শুনানি বাতিলের দাবিতে একই ভবনের নিচে মানববন্ধন করছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আমলে নিয়ে আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শুনানির ডাক দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গত ২২ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে ওই শুনানি স্থগিত করার দাবি জানিয়েছিল ক্যাব। তবে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই আজ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের শুনানি শুরু হয়।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের সমালোচনা করে ক্যাবের মানববন্ধনে অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, ‘এক লাফে তিন গুন দাম বৃদ্ধি হলে নতুন কোনো শিল্প হবে না। সরকারকে প্রয়োজনে এখন ভর্তুকি দিতে হবে, দাম বাড়ানো যাবে না।’
মানববন্ধনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) বলেন, ‘বিইআরসির কাজ হওয়ার কথা গ্যাস বিদ্যুতের দাম কমানো। কিন্তু তারা দাম বৃদ্ধি নিয়ে শুনানি করছে।’
গত ২২ ফেব্রুয়ারির সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিইআরসি গত ১৫ বছর শুধু মূল্যহার নির্ধারণের কাজ করেছে। বর্তমানেও এ অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। লুণ্ঠনমূলক ব্যয় ও মূল্যহার কমানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি বিইআরসি। এখন তারা গ্যাসের মূল্যহার বৃদ্ধির কার্যক্রম শুরু করেছে। বিদ্যুতেরও শুরু করা হবে।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিইআরসিতে চিঠি দিয়েছিল ক্যাব। তাতে বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, এলএনজি, এলপিজি, সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ সরবরাহে অন্যায় ও অযৌক্তিক ব্যয় কতটা সমন্বয় হয়েছে তার পরিমাণ বিআইরসি কর্তৃক নির্ধারিত হতে হবে। লুণ্ঠনমূলক ব্যয় ও মুনাফা রোধ করে এবং সরকারের রাজস্ব কমিয়ে বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানির মূল্যহার এবং ভর্তুকি কী পরিমাণ কমানো সম্ভব; তা বিইআরসির হিসাব করতে হবে। জ্বালানি-সংক্রান্ত অপরাধীদের বিচারের জন্য বিইআরসি আইনের আওতায় ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ইআরস
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদে দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার দাবি
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদের ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা দ্রুত নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সামনে প্রার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।
প্রার্থীরা বলেন, ‘গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের দাবি, হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করে দ্রুত মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার পর তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে হবে। শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ফল প্রকাশ করতে হবে এবং চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১৮ মাস প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রার্থীরা আরও বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর কর্তৃক শর্ত প্রদান করা হয়েছিল, ‘চূড়ান্ত কৃতকার্য প্রার্থীদের যোগদানের পূর্বে সিভিল সার্জন কর্তৃক শারীরিক সুস্থতা, গর্ভবর্তী নয় এই মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে। গর্ভবতী হলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল বলে গণ্য হবে।’ তাঁরা বলেন, ‘শুধু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির এই অমানবিক শর্তের কারণে প্রার্থীরা দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর মাতৃত্ব গ্রহণ করেননি। এ ছাড়া এই পাঁচ বছরে অধিকাংশ প্রার্থীরই সরকারি চাকুরির বয়স শেষ হয়েছে। এত ত্যাগ স্বীকার করার পরও আমাদের চাকরি না দেওয়াটা অন্যায়।’
পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ২০২০ সালের ১০ মার্চ। তিন বছর পর সারা দেশব্যাপী একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৭ হাজার ৬২১ জন প্রার্থী। এরপর তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পর চূড়ান্ত ফল না দিয়ে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে। তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে ৩ মাসের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।