Samakal:
2025-02-24@21:23:11 GMT

কেন বাড়তি লবণ ক্ষতিকর

Published: 24th, February 2025 GMT

কেন বাড়তি লবণ ক্ষতিকর

লবণ আর সোডিয়াম এক কথা নয়। রান্নায় ব্যবহৃত লবণ হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। লবণের ৪০ শতাংশ জুড়ে থাকে সোডিয়াম। তাই এক চামচ লবণ মানে এক চামচ সোডিয়াম নয়। আমাদের কম খেতে হবে সোডিয়াম। বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি ও যকৃতের সমস্যা ইত্যাদি আছে।
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ গ্রুপ যে নির্দেশনা দিয়েছে, তাতে দৈনিক ১৫০০ থেকে ২৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খাওয়া যাবে। অর্থাৎ ১৫০০ মিলিগ্রামের কম হলে তো খুবই ভালো। ২৩০০ মিলিগ্রামের ওপরে কখনোই নয়। ১৫০০ মিলিগ্রামে সোডিয়াম আছে ৩ দশমিক ৭৫ গ্রাম পরিমাণ লবণ, মানে পৌনে এক চামচ লবণে। ২৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খেতে হলে ৬ গ্রাম পরিমাণ লবণ খেতে হবে, অর্থাৎ এক চামচ। তার মানে দাঁড়াল, সারাদিনে এক চামচ পরিমাণের বেশি লবণ খাওয়া যাবে না।
গড়পড়তা আমরা দৈনিক ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খেয়ে ফেলি। এর একটা বড় অংশ আসে প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে। কেননা খাবার সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় এতে প্রচুর লবণ যোগ করা হয়। এ ছাড়া লবণ মূলত যোগ করা হয় খাবারে স্বাদ বাড়াতে। কেউ কেউ তো পাতে– এরপরও আলাদা লবণ নিয়ে খান।
বেকিং সোডা ব্যবহৃত হয় এমন খাবার (যেমন পাউরুটি বা ব্রেড, বেকারির বিভিন্ন খাবার), বিস্কুট, প্রক্রিয়াজাত মাংস (যেমন সসেজ, নাগেট), যে কোনো টিনের বা সংরক্ষিত খাবার (যেমন আচার, পনির), সস বা সয়াসসে ভেজানো খাবার, যা পরে পরিবেশন করা হয় (যেমন চিকেন ফ্রাই ও অন্যান্য ফাস্টফুড), ইনস্ট্যান্ট নুডলস ও পাস্তা, লবণ মাখানো চানাচুর, বাদাম ইত্যাদি বাড়তি লবণের বড় উৎস। দেখা যায়, আমরা রান্নায় লবণ কমিয়েছি ঠিকই। কেনা খাবারে অনেক লবণ রয়ে গেছে, সেটি খেয়াল করছি না।
কখনও আমরা নিজের অজান্তেই খাবারে লবণ যোগ করে ফেলি অভ্যাসবশত। যেমন সালাদ তৈরির সময় বা 
কাঁচা ফল খাওয়ার সময়। ওটা হিসাবের মধ্যেই ধরি না। 
আসলে এতখানি মেপে তো আর প্রতিদিন রান্না করা যাবে না। তাই চিকিৎসক যদি লবণ কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তবে তিনটি কাজ করবেন– এক.

আলগা লবণ একেবারেই খাবেন না, দুই. রান্নায় আগের চেয়ে একটু কম লবণ দিন আর তিন. উপরোল্লিখিত অতি লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। v 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: লবণ লবণ ক

এছাড়াও পড়ুন:

তীর চিনি উৎপাদনে বন্ড ছেড়ে ১৫০০ কোটি টাকা তুলবে সিটি গ্রুপ

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ (তীর চিনি) বন্ড ছেড়ে দেড় হাজার কোটি টাকা তুলবে। এতে বিনিয়োগ করতে পারবেন ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির পক্ষে বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহের এই দায়িত্ব পেয়েছে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংক। এই বন্ড হবে শতভাগ জামানতভিত্তিক জিরো কুপন বন্ড। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদনের পর এই বন্ড ইস্যু করা হবে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে সিটি গ্রুপ ও ব্র্যাক ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক (ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল) মোহাম্মদ তানভীর হায়দার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন এবং সিটি গ্রুপের এমডি মো. হাসান।

জানা যায়, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও ব্যাংকগুলোর তহবিল স্বল্পতার কারণে সিটি গ্রুপ চাহিদামতো অর্থায়ন পাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বন্ড ছেড়ে টাকা তোলার উদ্যোগ নেয় গ্রুপটি। আর তাতে পাশে দাঁড়িয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ ট্রিপল-এ ঋণমান বা রেটিং পাওয়া প্রতিষ্ঠান এবং দেশের অন্যতম বড় চিনি পরিশোধন কারখানা এটি।

ব্র্যাক ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিন বছর মেয়াদি এই বন্ড সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং আকর্ষণীয় মুনাফা দেবে। এই বন্ডটি ব্যক্তি ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে। এই বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ তাদের বাণিজ্য কার্যক্রম সম্প্রসারণ, নগদ প্রবাহ ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং অর্থায়নের পথ বহুমুখী করতে ব্যবহার করবে। এতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংকঋণনির্ভরতা কমবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএমডি শেখ মোহাম্মদ আশফাক, মো. মাহীয়ুল ইসলাম এবং হেড অব স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স ইউনিট তানভীর কামাল। অন্যদিকে সিটি গ্রুপের ডিরেক্টর (ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস) রেজা উদ্দিন আহমেদ এবং ডিরেক্টর (ইমপোর্ট) খিজির হায়াত খান অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে এই বন্ড অনুমোদনের আশা করছেন তাঁরা। এরপরই তাঁরা এটি বাজারে ছাড়বেন। এই বন্ডে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীরা করছাড় পাবেন, ফলে এটা হবে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক বিনিয়োগ পণ্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তীর চিনি উৎপাদনে বন্ড ছেড়ে ১৫০০ কোটি টাকা তুলবে সিটি গ্রুপ