জামালপুরে আমানতের টাকা ফিরে পেতে গ্রাহকদের অবস্থান কর্মসূচি
Published: 24th, February 2025 GMT
জামালপুরের মাদারগঞ্জে সমবায় সমিতি থেকে আমানতের টাকা ফেরত পেতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন গ্রাহকেরা। আজ সোমবার সকাল থেকে উপজেলা শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
‘মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে আমানতকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য সহায়ক কমিটি’–এর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কয়েকজন জানান, লাভের আশায় ২৩টি ‘সমবায় সমিতিতে’ টাকা জমা করেছিলেন প্রায় ৩৫ হাজার গ্রাহক। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকেরা ২০২২ সালের শেষের দিকে আত্মগোপনে চলে যান। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় কয়েক গুণ বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। জামালপুর থেকে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা তাঁরা আত্মসাৎ করেছেন।
আরও পড়ুনহাজারো গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও ২৩ সমিতি, উদ্ধারে ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আমানতের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে আজ সকাল ১০টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হন গ্রাহকেরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁদের সমাবেশ শুরু হয়। আমানতের অর্থ ফেরতের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে তাঁরা সেখানে বসে পড়েন। এর আগে একই দাবিতে ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও করেন তাঁরা।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, তাঁদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। সমবায় সমিতির মালিকেরা আত্মগোপনে যাওয়ার পর তাঁরা মাদারগঞ্জ থানা ও জামালপুরের আদালতে একাধিক মামলা করেছেন। জেলা প্রশাসক, জেলা সমবায় কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু আমানতের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ন্যূনতম কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে তাঁরা এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেন। টাকা ফেরতের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন তাঁরা।
জেলা সমবায় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহকের ৭৩০ কোটি টাকা সমিতিগুলোর কাছে ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৩টি সমিতির মধ্যে আল-আকাবা, শতদল, স্বদেশ, নবদীপ, হলিটার্গেট ও রংধুন অন্যতম। ছয়টি সমিতির কাছে জমা আছে ৭০০ কোটি টাকার বেশি। শুধু মাদারগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের একটি হিসাব করে দেখা গেছে, প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা সমিতিগুলোয় আছে। এ ছাড়া ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী ও জামালপুর সদরের কয়েক হাজার গ্রাহক আছেন।
আমানতের অর্থ উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক শিবলুল বারী বলেন, সমবায়সহ স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ন্যূনতম সহযোগিতা করছে না। সবার মধ্যে এমন একটা ভাব, সমিতিগুলোয় টাকা রেখে গ্রাহকেরাই বড় অপরাধ করেছেন। টাকা ফেরত পেতে আরও কঠোর ও লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সমবায় কর্মকর্তা আবদুল হান্নান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রাহকেরা যাতে তাঁদের আসল টাকাগুলো অন্তত ফেরত পান, এ জন্য আমরা গ্রাহকদের নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। বিভিন্নভাবে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ। স্থানীয় প্রশাসন যদি উদ্যোগ নেয়, তাহলে কিছু একটা হতে পারে।’
২৩টি সমিতির মধ্যে আল-আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি হুমায়ুন আহম্মেদ, শতদল বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম দ রগঞ জ গ র হকদ র গ র হক র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল, কেন্দ্র সচিবসহ ৪ শিক্ষক বহিষ্কার
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্র সচিবসহ ৪ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা এই বহিষ্কার আদেশ দেন।
এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল ফোন পাওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছর তারা কোনও পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ভাইটকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্র সচিব মো. বিল্লাল হোসেন এবং উপজেলার ৫ নম্বর সদর ইউনিয়নের ঠাকুর বাকাই ময়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান, নিলুফার ইয়াসমীন এবং গোলাম রেজুয়ান।
ইউএনও সাদিয়া ইসলাম সীমা জানান, পরীক্ষার হলে কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল পাওয়া গেছে। এটি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সুস্পষ্ট দায়িত্বে অবহেলা।
ভাইটকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্রের হল সুপার সিকদার জানান, ভোকেশনাল শাখার কয়েকজন ছাত্র সম্ভবত জানালা দিয়ে জব্দ হওয়া মোবাইলগুলো পরীক্ষার হলে নিয়েছিল। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে এসব ধরা পড়ে।