চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দিলেন আদালত
Published: 24th, February 2025 GMT
চার বছর আগে চট্টগ্রাম নগরের একটি হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামির নাম আবদুর রহমান। আজ সোমবার চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরা এ রায় দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ প্রথম আলোকে বলেন, আসামি আবদুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া পৃথক আরেক ধারায় আবদুর রহমানকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ওমর ফুয়াদ আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় আবদুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, নগরের পাহাড়তলী থানার আলিফদ গলি এলাকায় ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর সকালে বিজয় কুমার বিশ্বাসকে আসামি আবদুর রহমান তাঁর অফিসে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বিজয় কুমার বিশ্বাসের ভাই সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে নগরের পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পরের বছরের ১০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
পায়ুপথে বাতাস ঢোকানোর পরই অচেতন হয়ে পড়ে শিশুটি, পথেই মৃত্যু
বড় ভাইয়ের সঙ্গে গ্যারেজে এসেছিল শিশুটি। গ্যারেজের মালিক পাউরুটি–চা আনার ফরমায়েশ দিলে শিশুটিকে রেখে বড় ভাই দোকানে যায়। ফিরে এসে দেখে ভাইয়ের পেট ফুলে আছে। সারা গায়ে বমি। পায়ুপথ দিয়ে রক্ত পড়ছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের বাউনিয়াবাদ এলাকার একটি মোটর গ্যারেজে। পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে সংঘবদ্ধভাবে শিশু হত্যার অভিযোগে আজ বুধবার পল্লবী থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালে খুলনায় রাকিব (১২) এবং ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে ইয়ামিন (১৩) নামের দুই কিশোরের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। ওই দুই কিশোর কারখানায় কাজ করত।
আজ সরেজমিন ঘটনাস্থল মোটর গ্যারেজ, শিশুটির মায়ের বাসা ও পল্লবী থানায় গিয়ে জানা যায়, নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক জাবেদ আলী ও মোছা. আয়শার দুই সন্তানের মধ্যে ছোট। সে ফুলকলি–৭ নামের একটি এনজিও স্কুলে শিশু শ্রেণিতে পড়ত। বাবা বাসচালক ও মা পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। মনোমালিন্য থাকায় শিশুটির মা–বাবা বাউনিয়াবাদে আলাদা বসবাস করেন। শিশু দুটি মায়ের সঙ্গে থাকত। প্রায় এক বছর আগে ‘আলহামদুলিল্লাহ বাইক সার্ভিস সেন্টার’ নামে একটি গ্যারেজে কাজে ঢোকে আবুর বড় ভাই মো. জিহাদ (১২)।
পায়ুপথে বাতাস প্রবেশ করানোর কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পল্লবী থানা–পুলিশ। এ ঘটনায় একজন অজ্ঞাতনামাসহ চারজনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ওই হত্যা মামলা করেছেন শিশুটির মা আয়শা। আসামিদের একজন কিশোর হওয়ায় শিশু আইন ২০১৩ অনুসারে, তার নাম উল্লেখ করা হলো না। বাকি দুই আসামি রাজু (২০) ও মো. সুজন খান (৩৬)।
রাজধানীর পল্লবী থানার সিঁড়িতে বসে কাঁদছেন শিশুটির মা আয়শা