দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশালমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী। সমাবেশ থেকে খুন, ধর্ষণ ও নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ঘুরে মিলন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক ও সম্প্রতি বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিকদার। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী নারীদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনকি নারীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা প্রক্টরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নীতিনির্ধারক হিসেবে এমন নারীবিদ্বেষী ব্যক্তি থাকলে সে রাষ্ট্র নারীবান্ধব হতে পারে না; বরং প্রতিনিয়ত নারীদের জন্য অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা বলেন, জুলাইয়ের পর এ দেশের জনগণ একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র চেয়েছিল, কিন্তু সেই আশা এই সরকার ভেঙে দিয়েছে। তার মূল কারণ আওয়ামী লীগ সরকার ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রেণি চরিত্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

নূজিয়া হাসিন আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায়, আদিবাসীদের ওপর নিপীড়ন করে, আর এখন আমরা বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতনের ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। বিভিন্ন উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করে সরকার দেশকে অনিরাপদ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অভ্যুত্থানকারী জনগণকে নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। অবিলম্বে গুম, খুন, ধর্ষণ ও নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে, অন্যথায় গদি ছেড়ে দিন। জনগণ আওয়ামী লীগের যে পরিণতি করেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষেত্রেও একই পরিণতি ঘটবে।’

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সামি আবদুল্লাহ সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন। এ সময় আরও বক্তব্য দেন ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও সদস্য ইসরাত জাহান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পবিরোধী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীরা ফিরছেন ডেমোক্র্যাট গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে

যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে ফিরছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নারী নীরা ট্যান্ডেন।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেস (সিএপি) গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়।

দুই দশকের বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটির ঘোষণা অনুযায়ী, নীরা সিএপির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্বে ফিরবেন।

নীরা এমন একসময়ে সিএপির নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন, যখন অনেক ডেমোক্রেটিক দাতা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। তাঁরা দলের জন্য তহবিল দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির কাছে পরাজিত ডেমোক্রেটিক পার্টির অবস্থাও এখন দুর্বল। বর্তমান রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মোকাবিলা করার মতো কোনো বলিষ্ঠ, সুস্পষ্ট ডেমোক্রেটিক নেতা এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। জনগণের ভোটের রায়ে ক্ষমতা হারানোর পর রাজনীতির মাঠে জোরালোভাবে ফিরে আসার জন্য সুসংগত বার্তা তৈরির ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট নেতারা এখন হিমশিম খাচ্ছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টি ভোটারদের মধ্যে তার অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে চায়, ট্রাম্পকে শক্তভাবে মোকাবিলা করতে চায়।

এমন পটভূমিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্যতম প্রভাবশালী গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটির হাল ধরতে যাচ্ছেন নীরা। তিনি ট্রাম্পের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার কণ্ঠস্বর ছিলেন সিএপির নীরা।

বিদায়ী ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে যোগ দেওয়া আগে সিএপির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্বে ছিলেন নীরা। তিনি বাইডেনের অভ্যন্তরীণ নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। দায়িত্বের অংশ হিসেবে তিনি হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ নীতিবিষয়ক কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেন। এর আগে নীরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও হোয়াইট হাউসের স্টাফ সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বাইডেনসহ বিভিন্ন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারেও কাজ করেছেন নীরা। এ ছাড়া সাবেক ডেমোক্র্যাট মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামার প্রশাসনে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

সিএপিতে নতুন করে ফিরে আসার বিষয়ে নীরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইতিহাসের এই সংকটময় সময়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দিতে পেরে তিনি রোমাঞ্চিত। আগের ধারাবাহিকতায় সিএপি একটি স্থিতিস্থাপক জোট গড়ে তোলার জন্য অ্যাজেন্ডা তৈরি করবে। আমেরিকার মৌলিক মূল্যবোধের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের আক্রমণ মোকাবিলা করবে। একই সঙ্গে মার্কিনদের জীবনের সব স্তরে এই আক্রমণের ক্ষতি মোকাবিলা করা হবে।

নীরার এই বিবৃতি গতকাল সিএপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নীরা বলেছেন, ডেমোক্র্যাটদের এখন শুধু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করারই সময় নয়, ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন ও ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নিজেদের নিজস্ব ধারণাগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার সময়ও এখন।

আরও পড়ুনবাইডেনের উপদেষ্টা হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী০৬ মে ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুমিল্লা আদালতে বাদীকে পিটিয়ে হাসপাতালে, আটক ২
  • সরকার বিভিন্ন কৌশলে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছে
  • বিএনপির রাজনীতির মূললক্ষ্য জনগণ ও দেশ: তারেক রহমান
  • সংস্কারের গল্প আমাদের বলার দরকার নেই: আমীর খসরু
  • সংস্কারের গল্প আমাদের বলার দরকার নেই
  • সংস্কারের গল্প আমাদের বলার দরকার নেই, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমীর খসরু
  • সংস্কারের গল্প আমাদের বলার দরকার নেই: অন্তর্বর্তী সরকারকে আমীর খসরু
  • ইউক্রেনীয়রা জেলেনস্কিকে ঘৃণা করে, বললেন মাস্ক
  • ট্রাম্পবিরোধী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীরা ফিরছেন ডেমোক্র্যাট গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে