ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর মশালমিছিল

দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর মশালমিছিল। ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারিছবি: প্রথম আলো

দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশালমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী। সমাবেশ থেকে খুন, ধর্ষণ ও নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ঘুরে মিলন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক ও সম্প্রতি বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিকদার। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী নারীদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনকি নারীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা প্রক্টরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নীতিনির্ধারক হিসেবে এমন নারীবিদ্বেষী ব্যক্তি থাকলে সে রাষ্ট্র নারীবান্ধব হতে পারে না; বরং প্রতিনিয়ত নারীদের জন্য অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা বলেন, জুলাইয়ের পর এ দেশের জনগণ একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র চেয়েছিল, কিন্তু সেই আশা এই সরকার ভেঙে দিয়েছে। তার মূল কারণ আওয়ামী লীগ সরকার ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রেণি চরিত্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

নূজিয়া হাসিন আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায়, আদিবাসীদের ওপর নিপীড়ন করে, আর এখন আমরা বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতনের ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। বিভিন্ন উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করে সরকার দেশকে অনিরাপদ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অভ্যুত্থানকারী জনগণকে নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। অবিলম্বে গুম, খুন, ধর্ষণ ও নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে, অন্যথায় গদি ছেড়ে দিন। জনগণ আওয়ামী লীগের যে পরিণতি করেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষেত্রেও একই পরিণতি ঘটবে।’

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সামি আবদুল্লাহ সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন। এ সময় আরও বক্তব্য দেন ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও সদস্য ইসরাত জাহান।