জমজমাট আয়োজনে শেষ হয়েছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মহেলা গ্রামের নূর একাডেমিক স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্কুলে মাঠে প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নূর একাডেমিক স্কুলের সভাপতি বুরজত আলী, প্রধান শিক্ষিকা মোছা.

নার্গিস আক্তার, সহকারী শিক্ষিকা মুক্তি আক্তার ও রোজিনা আক্তার।

আরো উপস্থিত ছিলেন মো. আরজু হোসাইনসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার বলেন, ‘‘মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় খেলাধুলার বিকল্প নেই। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করলে দেহ সুস্থ ও মন ভালো থাকে। খেলাধুলায় বিজয়ী হওয়াটা বড় কথা নয়, অংশগ্রহণ করাটাই বড় বিষয়।’’

নূর একাডেমিক স্কুলের সভাপতি বুরজত আলী বলেন, ‘‘বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র বানাতে হলে সবার আগে আমাদের ছেলে-মেয়েকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। পাশাপাশি খেলাধুলায় সুনাম অর্জন করতে হবে।’’

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মনির হোসেন। নূর একাডেমিক স্কুলের পথচলা শুরু ২০১৪ সালে।

ঢাকা/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র এক ড ম ক স ক ল র অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা

পবিত্র জলে গাঁ ভিজিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাখাইন জনগোষ্ঠী। 

আরো পড়ুন:

বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস 

রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ

বর্ষবরণের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। পরে তারা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের শরীরে ছিটিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অং চো বলেন, “কক্সবাজার থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। নাচ, গান আর জলকেলি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। দিনটি আমাদের দারুন কেটেছে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।” 

কেরানিপাড়ার রাখাইন তরুণী ম্যাসুয়েন বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজন ছিল। এখানে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বিশেষ করে জলকেলির সঙ্গে নাচ আর গান দারুনভাবে উপভোগ করেছি। এমন আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”

কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও রাখাইনদের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”

পটুয়াখালী রাখাইন বুড্ডিস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারি মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাতেমা হেরেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান। 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ