বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, “আমি ড. ইউনূসকে বলব, ভাই, আপনি ভালো লোক। একজন মর্যাদাশীল লোক। জ্ঞানী-গুণী মানুষ। দেশ-বিদেশে আপনার সুনাম আছে। কারো পাল্লায় পড়েন না। বিএনপিকে রাস্তায় নামায়েন না। ফুলের মালা দিয়ে আপনাকে বরণ করে নিয়েছি, ফুলের মালা দিয়ে বিদায় দিতে চাই আপনাকে।” 

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পঞ্চগড় পৌরসভা সংলগ্ন মাঠে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিসি এসব কথা বলেন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দাবি এবং দ্রুত নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণার জন্য এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

শামসুজ্জামান দুদু  বলেন, “এই বছরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। এই বছরই তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। বিএনপির খেলা এখনো দেখেন নাই। কয়েকটা জনসভা শুধু শুরু হয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

অস্ত্র হাতে বাজারে গিয়ে হুমকি, যুবদল নেতা বহিষ্কার

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএনপি ও যুবদলের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চুর সভাপতিত্বে জনসভায় দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, বিএনপির রংপুর বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র তৌহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। 

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতিকে অস্থির অবস্থায় না রেখে দ্রুত নির্বাচনটা দিন: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতিকে আর অনিশ্চিয়তার মধ্যে না রেখে দয়া করে দ্রুত নির্বাচন দিন। যতটুকু দরকার, ততটুকু সংস্কার করেন। কালবিলম্ব না করে দ্রুত নির্বাচন দেন, ভোটের একটা রোডম্যাপ জনগণকে জানিয়ে দেন। দেশটাকে অস্থিতিশীল করবেন না, নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিবেন না। আমি অনুরোধ করবো, জাতিকে অস্থির অবস্থায় না রেখে দ্রুত নির্বাচনটা দিন। যে সরকার গঠিত হবে, তার পেছনে জনগণ থাকবে। জনগণ না থাকলে সে সরকার কাজ করতে পারবে না। তাই জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার লাকসাম স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ একটা ক্রান্তিকাল পার করছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে বলবো, আপনারা এমন কোনো কথা বলবেন না; যাতে জাতির ঐক্য নষ্ট হয়। এই মুহুর্তে দেশে ঐক্যের বড় প্রয়োজন। এই ক্রান্তিকালে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে দিল্লিতে বসেও ষড়যন্ত্র করছে। ভারত আমাদের বৃহত্তর প্রতিবেশি। ছাত্র-জনতা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। এখন আমাদের দরকার এই সরকারকে সমর্থন করা।

লাকসাম মনোহরগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদের সময় সবচেয়ে বেশী অত্যাচারের শিকার হয়েছে লাকসাম-মনোহরগঞ্জের মানুষ। রীতিমতো ভয়াবহ ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল এখানকার সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। সে এখন কোথায় পালিয়েছে, কেউ জানে না। এ সময় মঞ্চে ছিলেন গুম হওয়া লাকসামের বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হিরুর ছেলে রাফসান ও হুমায়ুন পারভেজের ছেলে শাহরিয়ার। 

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ স্বাধীন করেছিলাম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। শেখ মুজিব গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। শেখ হাসিনা তার শাসনামলে সব শেষ করে দিয়েছে। কেউ ভোট দিতে পারেনি। ভোটের আগের রাতে সিল মেরে আওয়ামী লীগের সবাইকে নির্বাচিত করেছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনটা ছিল ডামি নির্বাচন। দেশের নির্বাচনব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা। এই সময় তারেক রহমান একটা স্লোগান দিয়েছিল ‘টেক ব্যাক’। আরেকটা স্লোগান দিয়েছিল, ‘ফয়সালা হবে রাজপথে’। ঠিকই রাজপথে ফয়সালা হয়েছে। 

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম হওয়া লাকসামের বিএনপি নেতা হিরু-হুমায়ূনের সন্তানদের কথা স্মরণ করিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এমন ৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছিল। তার মধ্যে সিলেটের নেতা ইলিয়াসকে গুম করা হয়েছে। ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ২ হাজার মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। 
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। তাই তাকে জেল খাটতে হয়েছে। 

সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা সংস্কার-সংস্কারের কথা বলছেন, সত্যিকার অর্থে আপনারা বলেন তো; মানুষ সংস্কার বলতে কতটুকু বুঝে। মানুষ বুঝে, দু’বেলা দু’মুঠো ভাত, মোটা কাপড়, মাথার উপরে ছাদ, অসুস্থ হলে চিকিৎসা, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া- এগুলোই হলো সংস্কার। এখন যে ব্যবস্থা চলছে, তাতে শান্তি আসবে না। রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপি যে ৩১ দফা দিয়েছে তাতেই সমাধান আছে। দয়া করে দেশকে আর নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাবেন না। সেনাবাহিনীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে যখন আন্দোলন চলে তখন জনতার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল সেনাবাহিনী। 

জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। দলটির কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালামের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মো. মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আক্তারুজ্জামান সরকার, সদস্যসচিব এ এফ এম তারেক মুন্সি, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ কুমিল্লা দক্ষিণ ও উত্তর জেলা-উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার লাকসামে জনসভায় হাজারো নেতাকর্মীর ঢল নামে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৯ বছর পর সোমবার গোপালগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ, প্রস্তুতি সম্পন্ন
  • গোপালগঞ্জে ১৯ বছর পর বিএনপির সমাবেশ, ব্যাপক প্রস্তুতি
  • ১৯ বছর পর গোপালগঞ্জে বিএনপির জনসভা সোমবার
  • দুর্নীতি ও দুঃশাসন করে কেউ টিকে থাকতে পারে না: জামায়াত আমির
  • দুর্নীতি ও দুঃশাসন করে কেউ টিকে থাকতে পারে না: লক্ষ্মীপুরে জামায়াতের আমির
  • সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: ফখরুল 
  • সংস্কার সংস্কার করে দেশে আর অরাজকতা করার চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল ইসলাম
  • জাতিকে অস্থির না রেখে দ্রুত নির্বাচনটা দিন: মির্জা ফখরুল
  • জাতিকে অস্থির অবস্থায় না রেখে দ্রুত নির্বাচনটা দিন: মির্জা ফখরুল