ময়মনসিংহে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
Published: 21st, February 2025 GMT
ময়মনসিংহ নগরী ও তারাকান্দায় পৃথক স্থানে দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই পৃথক তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নগরীর দুর্গাবাড়ি রোডে দেয়াল ধসে লক্ষ্মী রানী বসাক (৭০), তারাকান্দা উপজেলার ঢাকুয়া ইউনিয়নের লোনহালা গ্রামের জুয়েল ফকিরের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (৪৫) ও অপর জন মোটরসাইকেল আরোহী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া গ্রামের মো.
জানা গেছে, ময়মনসিংহ নগরীর দুর্গাবাড়ি রোডে দেয়াল ধসে লক্ষ্মী রানী বসাক (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে পরিত্যক্ত দেয়াল ধসে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, “দেয়াল ধসে বৃদ্ধা মৃত্যুর খবর পেয়েছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এদিকে, দুপুরে ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কের তারাকান্দায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা একটি বালু ভর্তি ড্রাম ট্রাক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার যাত্রী মোছা. তাসলিমা খাতুন রাস্তার মধ্যে পড়ে যান। বালু ভর্তির ড্রাম ট্রাকের চাকা তার মাথার উপর দিয়ে চরে গেলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। তারাকান্দা থানাধীন মাসকান্দা এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অপর দিকে, মোটরসাইকেল আরোহী মো. রফিকুল ইসলামহ আরো দুজন ময়মনসিংহ থেকে শ্রীবরদী নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে তারাকান্দার জামান ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন বটতলায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাতনামা একটি বাস এবং ট্রাকের ওভারটেকিং করার সময় মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় আহত তিন জনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়। বাকী দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান জানান, পৃথক দুটি ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মোটরসাইকেলে থাকা আরও দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক গাড়ি ও চালকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/মিলন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ য় ল ধস দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মহাসড়কে সাত দিন চলবে না ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যান
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এর আওতায় মহাসড়কে ঈদের আগে ও পরে মোট সাত দিন ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। রোববার ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাধারণত প্রায় ১ কোটির বেশি মানুষ ঢাকা মহানগর ছেড়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যান এবং প্রায় ৩০ লাখের বেশি মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকায় আসেন। ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্য করতে ৯ মার্চ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে– আগামী ২৫ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত এবং ঈদ পরবর্তী তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখা। আবদুল্লাহপুর থেকে ধউর/আশুলিয়া সড়ক একমুখীকরণ ও বিআরটি লেন দিয়ে শুধু আউটগোয়িংয়ের যান চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৫ মার্চ থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিআরটি প্রকল্পের এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর আসা ও যাওয়ার লেন দুটিতে শুধু ঢাকা থেকে বের হওয়ার গাড়ি চলাচল করবে। এ ছাড়া ঈদযাত্রা সংশ্লিষ্ট যানবাহন ছাড়া অন্য সব গাড়িকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কয়েকটি সড়কের নির্দিষ্ট কিছু অংশ এড়িয়ে চলার অনুরোধও করা হয়েছে। যেমন– ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এয়ারপোর্ট থেকে আবদুল্লাপুর, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শ্যামলী থেকে গাবতলী, ঢাকা-কেরানীগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়িয়া থেকে তাঁতী বাজার হয়ে বাবুবাজার সেতু, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে বুড়িগঙ্গা সেতু, মোহাম্মদপুর বছিলা ক্রসিং থেকে বছিলা সেতু সড়ক ও আবদুল্লাপুর থেকে ধউর ব্রিজ সড়ক।