যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন উত্তেজনার জেরে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের দূতের সংবাদ সম্মেলন বাতিল
Published: 21st, February 2025 GMT
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেনবিষয়ক দূত কিথ কেলগের মধ্যকার বৈঠক-পরবর্তী পরিকল্পিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। রাশিয়ার সঙ্গে তিন বছর ধরে ইউক্রেনের চলা যুদ্ধের অবসান কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে ওয়াশিংটন ও কিয়েভের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র হওয়ায় এ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি ও অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগের কথা বলার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এ সিদ্ধান্ত বদলে তাঁরা শুধু সাংবাদিকদের ছবি তোলার সুযোগ দেন। এ সময় প্রত্যাশা অনুযায়ী তাঁরা কোনো বিবৃতি বা প্রশ্নের উত্তর দেননি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সেরহি নিকিফোরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন বাতিলের অনুরোধ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনশান্তি আলোচনায় ‘কার্ড’ রাশিয়ার হাতে: বিবিসিকে ট্রাম্প১৯ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে মতবিরোধ শুরু হওয়ার মধ্যে আকস্মিকভাবে কিয়েভ সফরে যান কেলগ। দুই নেতার মধ্যকার এ বিরোধ তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধে দেশটির প্রতি মার্কিন সমর্থনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও সন্দেহ তৈরি করছে।
জেলেনস্কি ও কেলগের সংবাদ সম্মেলনের আমন্ত্রণ পেয়ে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে জড়ো হয়েছিলেন। বৈঠক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোকচিত্রী ও ভিডিও সাংবাদিকদের একটি কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। বৈঠকে জেলেনস্কি ও কেলগ করমর্দন করে একে অপরের মুখোমুখি বসেন।
সাংবাদিকদের এ সময় জানানো হয় যে কোনো সংবাদ সম্মেলন হবে না। জেলেনস্কির মুখপাত্র নিকিফোরভ হঠাৎ এ পরিবর্তনের কোনো কারণ জানাননি। তিনি শুধু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। কেন সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে, সে প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি হোয়াইট হাউস।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে ওই দুই নেতার কথা বলার কথা ছিল। এর আগে জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনে কী ঘটছে, তা ব্যাখ্যা করার ও কেলগকে তা দেখানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরক্ষণশীল ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অন্যতম স্থপতি কেলগ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষাবিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা ছিলেন।
জেলেনস্কি তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, কেলগের সঙ্গে বৈঠকে ভালো হয়েছে এবং তাঁর সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তাঁরা ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও রাশিয়া থেকে ইউক্রেনের বন্দীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুনট্রাম্পের ইউক্রেন নীতিতে বদল: ইউরোপের ক্ষুব্ধ নেতারা কীভাবে সাড়া দিচ্ছেন২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫জেলেনস্কি আরও লিখেছেন, ‘আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠাকে নির্ভরযোগ্য ও স্থায়ী করতে পারি। আর এটি অবশ্যই করতে হবে, যাতে রাশিয়া আর কখনো যুদ্ধ বাঁধাতে না পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা বিষয়ে একটি শক্তিশালী ও সত্যিকার অর্থে উপকারী চুক্তির জন্য প্রস্তুত ইউক্রেন।’
সম্প্রতি জেলেনস্কি ও ট্রাম্প একে অন্যের সমালোচনা করেন। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র গত মঙ্গলবার ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে কাজ শুরু করতে একমত হওয়ার পর এ কাদা–ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। ফলে ট্রাম্প রাশিয়াকে একঘরে করার তিন বছরের মার্কিন নীতি হঠাৎ করেই পরিবর্তন করেন।
আরও পড়ুনআপনার এই যুদ্ধ শুরু করাই ঠিক হয়নি১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ইউক র ন ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে নিজের সঙ্গে ‘সৎ’ থাকতে চান মেসি
আর্জেন্টিনার ফুটবল নিয়ে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন সম্ভবত—লিওনেল মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কি না? মেসি নিজেই এ নিয়ে কথা বলেছেন এর আগে। গত বছর নভেম্বরে ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি জানিয়েছিলেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কি না, তিনি এখনো নিশ্চিত নন। আগে বছরটা ভালোভাবে শেষ করতে চান। ২০২৬ বিশ্বকাপের পথে এগোতে চান প্রতিটি দিন ধরে ধরে।
আরও পড়ুনইউনাইটেডের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে শিশুটির চোখে পানি, ঠোঁটে হাসি১ ঘণ্টা আগেআর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি মেসির আগামী বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন গত মার্চে। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলকে হারানোর পর স্কালোনি বলেছিলেন, দেখা যাক কী হয়, এখনো তো হাতে সময় আছে। মেসির সিদ্ধান্ত মেসিকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন স্কালোনি।
মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি