ইউক্রেনের লিথিয়াম, টাইটানিয়ামসহ বিরল খনিজ সম্পদের মালিকানা পেতে সম্প্রতি দেশটিকে একটি প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রস্তাব-সংশ্লিষ্ট এক প্রশ্নের জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমি ইউক্রেনকে রক্ষা করছি। আমি আমাদের দেশকে বিক্রি করে দিতে পারি না।’

আজ বুধবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রস্তাবটির প্রথম খসড়া নাকচ করে দিয়েছি। ওই প্রস্তাব মেনে নিলে যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের খনিজ সম্পদের প্রায় ৫০ শতাংশের মালিকানা দিতে হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রস্তাবে (ইউক্রেনের) নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।’

জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে, ট্রাম্পের এমন এক মন্তব্যের জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বর্তমানে আমার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। তাই এখন কেউ আমাকে সরাতে চাইলে তা কার্যকর হবে না।’

সাম্প্রতিক জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে জেলেনস্কি বলেন, নেতা হিসেবে ইউক্রেনের প্রায় ৫৮ শতাংশ মানুষ তাঁর ওপর আস্থা রাখেন।

রাশিয়া ‘প্রচুর অপতথ্য ছড়াচ্ছে’ অভিযোগ করে জেলেনস্কি বলেন, ‘নেতা হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তিনি এই অপতথ্যের জগতে বাস করছেন।’

ট্রাম্প সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিয়েছে ইরান

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তির আহ্বান জানিয়ে ইরানকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিয়েছে তেহরান। ওমানের মাধ্যমে এই জবাব দেওয়া হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ট্রাম্পের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের জবাব ‘ওমানের মাধ্যমে যথাযথভাবে পাঠানো হয়েছে’।

আরাগচি বলেন, ‘সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মধ্যে থাকা অবস্থায় সরাসরি আলোচনায় যুক্ত না হওয়ার আমাদের নীতি এখনো বহাল আছে। তবে অতীতের মতো পরোক্ষ আলোচনা চলতে পারে।’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জবাবের মধ্যে একটি চিঠি রয়েছে, যেখানে বর্তমান পরিস্থিতি ও ট্রাম্পের চিঠির বিষয়ে আমাদের অভিমত বিস্তারিত তুলে ধরেছি।’

আরও পড়ুনইরানের নেতাকে ট্রাম্পের চিঠি০৭ মার্চ ২০২৫

‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতির অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালে তাঁর প্রথম মেয়াদে ইরানের সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফা সরে আসেন এবং দেশটির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে ওই চুক্তি করেছিল ইরান।

৭ মার্চ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে তিনি চিঠি লিখেছেন। তেহরান আলোচনায় বসতে রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে আলোচনায় বসার জন্য ইরান দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

সম্পর্কিত নিবন্ধ