ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে টানা চার ঘণ্টা বৈঠক করেছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে দুই দেশ সম্মত হয়েছে তারা ‘উচ্চ-স্তরের দল’ গঠন করবে, যা ইউক্রেন-রাশিয়া চলমান যুদ্ধের অবসানে কাজ শুরু করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, “একটি ফোনকল এবং একটি বৈঠক শান্তির স্থায়ী প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে যথেষ্ট নয়। আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আজ আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সামনে এগিয়ে নিয়েছি।” খবর বিবিসির।

তিনি আরো জানান, দুই দেশ তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে বিদ্যমান ‘অসন্তোষ’ বা ‘ইরিট্যান্টস’ বিষয়গুলোও মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ভবিষ্যতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হতে পারে।

আরো পড়ুন:

প্রয়োজন হলে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন পুতিন: ক্রেমলিন

ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

বৈঠকে ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাউকে যুক্ত করা হয়নি। রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার এই বৈঠক ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। 

বৈঠকে ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে রাশিয়া। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন, পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাশিয়ার কাছ থেকে ইউক্রেনের নিরাপত্তার একমাত্র উপায় ন্যাটোর সদস্যপদ। 

ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় নেতারা উদ্বিগ্ন যে, তাদের সুরক্ষার স্বার্থকে উপেক্ষা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেন। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত সপ্তাহে বলেছিলেন, “ইউক্রেনকে ছাড়া ইউক্রেন সম্পর্কে কোনো আলোচনা বা চুক্তিকে দেশটি স্বীকৃতি দেবে না।” 

মঙ্গলবার রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠকের পর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে চান; যুক্তরাষ্ট্র শান্তি চায় এবং দেশগুলোকে একত্রিত করার জন্য বিশ্বে তার শক্তি ব্যবহার করছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের একমাত্র নেতা যিনি ইউক্রেন এবং রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধে সম্মত করাতে পারেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রকাশিত প্রতিবদেন নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের ব্যাখা

'পুলিশকে বাঁচাতে প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদন, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ' শিরোনামে বৃহস্পতিবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশের ব্যাখা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে গতকাল বলা হয়-বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যার ঘটনার মামলাসমূহ পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সচেষ্ট। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তদন্তে যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধপরিকর।

‘পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাঁচাতে এমন বিতর্কিত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে’–এই উদ্ধৃতির প্রতিবাদ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এরই মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার তথ্য থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ চলমান।

বাংলাদেশ পুলিশ জনাকাঙ্খা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশ সদস্যরা নিজেরা নির্ঘুম থেকে জনগণের শান্তির ঘুম নিশ্চিত করে, ঈদ-পূজা-পার্বনের আনন্দ উপভোগ করা থেকে পরিবার-পরিজনকে বঞ্চিত করে জনগণের আনন্দ উপভোগ নিশ্চিত করে। করোনাকালে মানবিক বিপর্যয়ের সময় পুলিশ নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এরকম অজস্র উদাহরণ রয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রগতির বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হেলাল উদ্দিন কোনও কথা বলেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ