চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এক দিন আগে লকি ফার্গুসনকেও হারাল নিউজিল্যান্ড
Published: 18th, February 2025 GMT
এক দিন পরেই শুরু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। করাচিতে বুধবার উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। সেই ম্যাচের এক দিন আগে দুঃসংবাদ শুনল নিউজিল্যান্ড। ডান পায়ের চোটে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে ছিটকে পড়েছেন দলটির পেসার লকি ফার্গুসন। তাঁর পরিবর্তে নিউজিল্যান্ড দলে নিয়েছে আরেক পেসার কাইল জেমিসনকে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেমিসন সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩০ বছর বয়সী জেমিসন সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের জার্সি গাঁয়ে চড়িয়েছেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে টেস্টে।
ফার্গুসনকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের স্বপ্ন বড় ধাক্কাই খেল। চোটের কারণে এ সপ্তাহেই আরেক পেসার বেন সিয়ার্সকে হারায় কিউইরা। সিয়ার্সের জায়গায় জ্যাকব ডাফিকে দলে নেয় নিউজিল্যান্ড।
না খেললেন পাকিস্তান ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ড দলের সঙ্গে ছিলেন ফার্গুসন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপককে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক অনিয়ম, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৫৩৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অব্যাহতির পাশাপাশি পরবর্তী পদোন্নতির তারিখ থেকে পাঁচ বছরের জন্য তাঁর পদোন্নতি ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর কাছে বিভাগের পাওনাদি বিষয়ে পত্র ইস্যু করার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে। পাঁচ বছর তিনি অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা বা কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং এই পাঁচ বছর সক্রিয় চাকরি হিসেবেও গণ্য করা হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন বিভাগের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষার বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্ত করতে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্রলীগ নেতাকে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র প্রদান, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের অপসারণ দাবি করেন স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিভাগের কার্যালয়ে লিখিতভাবে স্নাতক পর্যায়ের ২০৯ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৯২ শিক্ষার্থী তাঁর অপসারণের দাবির পক্ষে অভিযোগপত্রের সংযুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।