নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপদেষ্টা মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ বলেন, চব্বিশের স্বাধীনতায় ছাত্রদের পাশাপাশি শ্রমিকদের ভূমিকা ছিল দৃশ্যমান।

তিনি আরো বলেন গতকাল হাসপাতালের বেডে যে লাশের সন্ধান মিলেছে সেইটিও শ্রমিক। শ্রমিকরা সব সময় নিরবে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সাথে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাষাঢ়া মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

সংগঠনের সভাপতি হাফেজ আবদুল মোমিন’র সভাপতিত্বে ও সোলাইমান হোসাইন মুন্নার সঞ্চালনায়  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী শহিদুর রহমান বাংঙালী, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ইকবাল আহমদ শ্যামল, বিশিষ্ট সমাজসেবক ক্যাপ্টেন মো.

দুলাল।

এসময় আরো অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মুন্সি আব্দুল্লাহ ফয়সুল, সহ-সাধারন সম্পাদক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম সিকদার, কোষাধ্যক্ষ খোরশেদ আলম রবিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

গণহত্যার অস্বীকার ঠেকাতে আগে বিচার দরকার

ব্যক্তির স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার বোধও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারের দাবি দানা বাঁধতে বাঁধতে প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতিতে পর্যবসিত হয়েছিল। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান অস্বীকারের প্রবণতা একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং গণহত্যা দিবস স্মরণে বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উঠে এসেছে এ কথাগুলো। গতকাল মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারে ‘গণহত্যা, অস্বীকারের প্রবণতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসর’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ।

সহুল আহমদ তাঁর প্রবন্ধে বলেন, গণহত্যাকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদাহরণ পৃথিবীতে কমই আছে। গণহত্যা বা এ ধরনের অপরাধের ঘটনার সত্যতার অস্বীকার ঠেকাতে সবার আগে দরকার বিচার।

এই প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম ও লেখক সারোয়ার তুষার। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণমানুষের অধিকার ও ন্যায্যতার হিস্যা বুঝে নেওয়ার লড়াই। তাঁরা মনে করেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পক্ষপাতের পঙ্ক থেকে মুক্ত করতে হবে। ১৯৭১ থেকে ২০২৪—গণহত্যার পক্ষগুলো সব সময় জাতিগত অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করে দিয়েছে, মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করেছে।

স্বাগত ভাষণে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ১৯৭১–এর পূর্বকালে এ অঞ্চলের মানুষ সুদীর্ঘকাল রাজনৈতিক আলোচনা, মীমাংসা ইত্যাদি চালিয়েছে। তবে একাত্তরের ২৫ মার্চ সবকিছু ছাপিয়ে সর্বাত্মক স্বাধীনতা অর্জনের প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্নে সুদীর্ঘকাল লড়াই–সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে, স্বপ্নভঙ্গের শিকারও হয়েছে। যে বিপুল জনগোষ্ঠী একাত্তরে গণহত্যার শিকার হয়েছে, তাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বদেশে আমরা স্বাধীনতাকে অর্থবহ এবং মানুষের জন্য কল্যাণকর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি কি না, সেটাই আজকের দিনের বড় প্রশ্ন।’

অনুষ্ঠান শেষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তাজউদ্দীন আহমদের স্বহস্তে লেখা মুক্তিযুদ্ধের অজানা দলিল: আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সারসংক্ষেপ
  • গণহত্যার অস্বীকার ঠেকাতে আগে বিচার দরকার
  • নদীর তীর ছাড়ছে না বালুখেকোরা
  • ইতিহাসই স্বাধীনতার প্রেরণা
  • 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'ই থাকছে, প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’
  • নাম মঙ্গল শোভাযাত্রাই থাকছে, প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’
  • টাকার বিনিময়েও মিলল না সিট, শিশুর মৃত্যুর খবরে দালালকে পিটুনি
  • দেশের কোথাও শেখ পরিবারের নামফলক থাকতে পারবে না: অলি আহমদ
  • সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০%
  • সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ