ইউক্রেনের উল্লেখযোগ্য অংশ ‘রাশিয়ার অংশ হতে চায়’ : ক্রেমলিন
Published: 11th, February 2025 GMT
ইউক্রেনের উল্লেখযোগ্য অংশ ‘রাশিয়ার অংশ হতে চায়’ বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যের পর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতি বহুলাংশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্যকেই প্রতিফলিত করে।
স্থানীয় সময় গত সোমবার ফক্স নিউজে সম্প্রচার হওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি ধারণা করছেন ইউক্রেন ‘কোনো এক সময় রাশিয়ার হয়ে যেতে পারে’। এমন সময় তিনি এ মন্তব্য করলেন, যখন তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২০২২ সালে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল একীভূত করে নেয় রাশিয়া। বিষয়টি তুলে ধরে পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, বাস্তবতা হলো ইউক্রেনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ রাশিয়ায় একীভূত হতে চায় এবং ইতিমধ্যে হয়েছেও। এ ধরনের কোনো বিষয়ে হওয়া না হওয়ার ক্ষেত্রে সমান সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে যুদ্ধ বন্ধে সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত রোববার নিউইয়র্ক পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ ফোনালাপের বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি ক্রেমলিন।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তারা (ইউক্রেন) একটি চুক্তি করতে পারে, না-ও করতে পারে। তারা একদিন রাশিয়ার হয়ে যেতে পারে কিংবা রাশিয়ার না-ও হতে পারে।
ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিনিময়ে মুনাফা অর্জনের ওপরও জোর দেন ট্রাম্প। এ ক্ষেত্রে দেশটির বিরল খনিজের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের বাণিজ্যের বিষয়ে জোর দেন তিনি।
শিগগিরই নিজের ইউক্রেনবিষয়ক বিশেষ দূত কেইথ কেলগকে কিয়েভে পাঠানোর কথা সোমবার নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। যুদ্ধ বন্ধে কেইথকে একটি রূপরেখা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
এবার চাঁদাবাজির মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজির একটি মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
পিপি ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের এপ্রিলে মেঘনা আলমের পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী মো. দেওয়ান সমিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়। সেই ঘটনার সঙ্গে মেঘনা আলম জড়িত বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে। আজ বৃহস্পতিবার এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে মেঘনা আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুনমডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট১৩ এপ্রিল ২০২৫পিপি ওমর ফারুক জানান, ভাটারা থানায় দায়ের করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন মেঘনা আলমের পরিচিত ব্যবসায়ী সমির। এই মামলায় তাঁকে ১২ এপ্রিল পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
৯ এপ্রিল রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে আদালত মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। তিনি এখন কারাগারে।
সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
আরও পড়ুনমেঘনা আলম যে প্রক্রিয়ায় আটক, তা সঠিক হয়নি: আসিফ নজরুল১৩ এপ্রিল ২০২৫মেঘনা আলমকে আটকের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে তাঁর বাবা বদরুল আলম গত রোববার (১৩ এপ্রিল) রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।
রুলে পরোয়ানা ছাড়া বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার, কারণ না জানিয়ে গ্রেপ্তার, ডিবি কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রাখা ও আইনজীবীর সুযোগ না দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দেওয়া আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।