গাজাকে ‘বড় আবাসন এলাকা’ মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
Published: 10th, February 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিকে একটি ‘বড় রিয়েল এস্টেট সাইট’ (বড় আবাসন এলাকা) মনে করেন তিনি।
গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ফিলিস্তিনিদের বা অন্য মানুষকে গাজায় বসবাসের অনুমতি দেওয়া একটি বড় ভুল। আমরা চাই না, হামাস আবার সেখানে ফিরে যাক। আমি মনে করি, গাজা একটি ‘বড় আবাসন এলাকা’। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এটি দখলে নেওয়া। আমরা ধীরে ধীরে, অত্যন্ত ধীরস্থিরভাবে, কোনো ধরনের তাড়াহুড়া ছাড়াই এটি সংস্কার করব। আমরা শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনব।’
জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাঁদের অনেককেই বারবার জায়গা বদল করে সরে যেতে হয়েছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক একজন বড় আবাসন ব্যবসায়ী। তিনি গাজাকে ‘বিধ্বস্ত স্থান’ হিসেবে বর্ণনা করে এটি ‘সমতল’ ও ‘ঠিক’ করা হবে বলে মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প আবারও পরামর্শ দেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ‘সুন্দর জায়গায়’ বাড়িঘর করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই দিনই প্রথম গাজা দখলে নেওয়ার কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং আমরা এটি নিয়ে একটি কাজ করব।’
আরও পড়ুনগাজার দখল নিতে চান ট্রাম্প০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫তখন থেকে ট্রাম্পের এমন পরিকল্পনার প্রশংসা করে আসছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে ‘বৈপ্লবিক ও সৃষ্টিশীল দূরদৃষ্টিসম্পন্ন’ বলে মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুনগাজাকে দখলে নেওয়ার ট্রাম্পের পরিকল্পনায় কী আছে০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে
সাড়ে চার মাসে সাড়ে তিন শর বেশি সিনেমাকে সার্টিফিকেশন সনদ দিয়েছে বোর্ড। এর মধ্যে ‘ভয়াল’, ‘বলী’, ‘দরদ’, ‘চাঁদের অমাবস্যা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘প্রিয় মালতী’র মতো সিনেমা যেমন আছে, তেমনি রয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাওয়া হলিউডের চলচ্চিত্র।
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার। ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩’-এর ৩-এর উপধারা (১) অনুসারে গঠিত হয়েছে এই বোর্ড।
বোর্ডের প্রধান কাজ ছবির রেটিং দেওয়া। কোন ছবি কোন বয়সের দর্শকের জন্য উপযোগী, নির্ধারণ করে বোর্ড। আর এই রেটিং প্রদানের জন্য জরুরি বিধিমালা। কিন্তু বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, প্রস্তাব আকারে রয়েছে। কেউ কেউ তাই প্রশ্ন তুলেছেন, বিধিমালা ছাড়াই সাড়ে চার মাস ধরে সার্টিফিকেশন বোর্ড কীভাবে কাজ করছে?
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার