গাজাকে ‘বড় আবাসন এলাকা’ মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিকে একটি ‘বড় রিয়েল এস্টেট সাইট’ (বড় আবাসন এলাকা) মনে করেন তিনি।
গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ফিলিস্তিনিদের বা অন্য মানুষকে গাজায় বসবাসের অনুমতি দেওয়া একটি বড় ভুল। আমরা চাই না, হামাস আবার সেখানে ফিরে যাক। আমি মনে করি, গাজা একটি ‘বড় আবাসন এলাকা’। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এটি দখলে নেওয়া। আমরা ধীরে ধীরে, অত্যন্ত ধীরস্থিরভাবে, কোনো ধরনের তাড়াহুড়া ছাড়াই এটি সংস্কার করব। আমরা শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনব।’
জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাঁদের অনেককেই বারবার জায়গা বদল করে সরে যেতে হয়েছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক একজন বড় আবাসন ব্যবসায়ী। তিনি গাজাকে ‘বিধ্বস্ত স্থান’ হিসেবে বর্ণনা করে এটি ‘সমতল’ ও ‘ঠিক’ করা হবে বলে মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প আবারও পরামর্শ দেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ‘সুন্দর জায়গায়’ বাড়িঘর করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই দিনই প্রথম গাজা দখলে নেওয়ার কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং আমরা এটি নিয়ে একটি কাজ করব।’
তখন থেকে ট্রাম্পের এমন পরিকল্পনার প্রশংসা করে আসছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে ‘বৈপ্লবিক ও সৃষ্টিশীল দূরদৃষ্টিসম্পন্ন’ বলে মন্তব্য করেন।