ইউক্রেনের পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকের আরও দুটি গ্রাম দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। আজ বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ দাবি জানিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের সেনারা উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের নোভোমলিনস্ক নামের একটি গ্রাম দখল করেছেন। ওস্কিল নদী পার হয়েই রুশ সেনারা গ্রামটি দখল করেছেন। এত দিন পর্যন্ত নদীটির দুই তীর দুই দেশের সেনাদের দখলে ছিল।

গ্রামটি খারকিভের পূর্ব দিকে অবস্থিত। এ অঞ্চলের কয়েকটি স্থানের রণক্ষেত্রের সম্মুখভাগ (ফ্রন্টলাইন) এসে মিলেছিল এই গ্রামে। সম্প্রতি ওস্কিল নদীর ওপর রুশ সেনারা একটি সাময়িক সেতু তৈরি করেন এবং গ্রামটি ধীরে ধীরে দখল করতে থাকেন।

রুশ বাহিনীর দখল করা দ্বিতীয় গ্রামটির নাম বারানভকা। এটি ওচেরেটিন শহরের উত্তরে অবস্থিত। কয়েক মাস চেষ্টার পর গ্রামটি দখল করল রুশ বাহিনী।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো গ্রাম বা বসতি দখল করছে রাশিয়া।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর পূর্ণ হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। এখন দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতির নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষ রণক্ষেত্রে নিজেদের অর্জন বাড়াতে চেষ্টা করছে।

গত কয়েক মাসে ইউক্রেনের পূর্ব দিকের দনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার অগ্রগতি বেড়েছে। ইউক্রেনের সেনারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, রুশদের অগ্রগতি ঠেকাতে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

যেমন ছিল মহানবীর (সা.) ইফতার

মহানবীর (সা.) ইফতার ছিল খুব সাদামাটা। তবে তিনি আগ্রহ নিয়ে ইফতার করতেন। রোজা ভাঙার সময় হলে দ্রুত ইফতার করে নিতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রোজা পালনকালে রাসুল (সা.) মাগরিব ও ইফতার দ্রুত করতেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ১০৯৯)

 তিনি ইফতার করতেন ভেজা বা শুকনা খেজুর, অথবা শুধু পানি দিয়ে। তাঁর দীর্ঘ দিনের সেবক আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) নামাজ আদায়ের পূর্বে কয়েকটি ভেজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, যদি ভেজা খেজুর না থাকত, তবে সাধারণ শুকনা খেজুর গ্রহণ করতেন। তা-ও না থাকলে কয়েক ঢোক পানিই হতো তাঁর ইফতার। (তিরমিজি, হাদিস: ৬৯৬)

আবদুল্লাহ বিন আবি আউফা বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায়, কখনো তার ইফতার ছিল কেবল ছাতু ও পানি মিশ্রিত ইফতার খাবার। তিনি বলেন, ‘একবার, রমজান মাসে আমরা রাসুলের (সা.) সঙ্গে সফরে ছিলাম। সূর্য অস্তমিত হলে তিনি বললেন, হে অমুক, নেমে এসে আমাদের জন্য ছাতু ও পানি মিশ্রিত ইফতার পরিবেশন করো। (বুখারি, হাদিস: ১৯৪১; তিরমিজি, হাদিস: ৬৯৬)

আরও পড়ুনমহানবী (সা.)-কে ভালোবাসার ৭টি নিদর্শন০৬ মার্চ ২০২৫

হাদিসে পানিমিশ্রিত দুধ (ঘোল ও মাঠা) দিয়ে ইফতার করার কথাও রয়েছে। তবে কখনো তিনি ইফতার ত্যাগ করেননি। আনাস (রা.) বলেন, আমরা রাসুল (সা.)-কে, এমনকি এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও, ইফতার করা ব্যতীত মাগরিবের নামাজ আদায় করতে দেখিনি। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৩,৫০৪)

 ইফতারে রাসুলের (সা.) আচরণ থেকে প্রমাণিত হয়, ইফতারের কিছুক্ষণ আগেই ইফতারি সামনে নিয়ে অপেক্ষা করা এবং যথাসময়ে ইফতার করা সুন্নত। খেজুর দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব। তারপর কোনো মিষ্টি জিনিস খাওয়া যেতে পারে। তারপর পানি। খেজুর না থাকলে যেকোনো ফল দিয়ে ইফতার করা ভালো। তাও সম্ভব না হলে যেকোনো হালাল খাবার, এমনকি শুধু পানি দিয়েও ইফতার করা যায়। যদি পানিও না থাকে, তাহলে ইফতারের নিয়ত করবে এবং ইফতারের নিয়তই হবে তার জন্য ইফতার। (আবু দাউদ, হাদিস: ২,৩৫৫)

 সালমান ইবনে আমির (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয় পানি পবিত্র। (তিরমিজি, আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬২)

 বর্তমান সময়ে ইফতার ও সাহরিকে কেন্দ্র আমরা যে জাঁকজমক ও আচার-অনুষ্ঠান দেখতে পাই, নবীজি (সা.) কখনো তেমন করেননি।

আরও পড়ুনইফতারের দোয়া আরবি ও বাংলা উচ্চারণ, অর্থসহ০৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ