পঞ্চগড়ে মায়ের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে হাসপাতালের ছাদ থেকে নিচে পড়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশু সোলায়মানের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা শহরের প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ঘটনাটি ঘটে। পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচএসএম সোহরাওয়ার্দী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মারা যাওয়া সোলায়মান সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ধনীপাড়া এলাকার কাঠমিস্ত্রি রহিবুল ইসলামের ছেলে।

আরো পড়ুন:

শিশুকে পুকুরে ফেলে দেওয়া সেই শাহজাহান কারাগারে

নদী থেকে পাওয়া মৃত শিশুর পোশাক দেখে নিজের সন্তান দাবি

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে মারা যাওয়া শিশুর চাচা আশাদুল ইসলাম জানান, প্রাইম ক্লিনিকে তার ভাবি সালমা বেগমের বোন অরিফা খাতুন সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। সেই নবজাতককে দেখতে মায়ের সঙ্গে সোলায়মান ক্লিনিকে যায়। সবার অগোচরে সোলায়মান ক্লিনিকের তিন তলায় উঠে ঘোরাঘুরি করতে থাকে।

তিনি আরো জানান, সালমা বেগম ছেলেকে দেখতে না পেয়ে ক্লিনিকের আশেপাশে খুঁজতে শুরু করেন। তিনি সোলায়মানের নাম ধরে ডাক দিলে ক্লিনিকের ছাদ থেকে নিচে উঁকি দেয় শিশুটি। এসময় সে ক্লিনিকের ছাদ থেকে পাশের একটি একতলা ভবনের ছাদে পড়ে যায় এবং তার মাথায় আঘাত লাগে। পরে স্বজনরা তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সোলায়মানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। 

পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এস এম সোহরাওয়ার্দী বলেন, “আমরা মরদেহের সুরতহাল করেছি। শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। পরিবারটির কোনো অভিযোগ পাইনি।”

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কর্তৃপক্ষের আশ্বাস শিক্ষার্থীদের ‌শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার

দাবি পূরণে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে একাডেমিক ভবনের ফটকের তালা খুলে কলেজে প্রবেশ করেন তারা। 

আরো পড়ুন: সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন

আরো পড়ুন:

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুলেছে হল

আন্দোলনে ফিরছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা, ঢাকায় আসছেন প্রতিনিধিরা

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- মেডিকেলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয়াশ চন্দ্র দাস ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মৌনতা নাথ মিশি।

শিক্ষার্থীরা জানান, ওয়ার্ড ক্লাস সুবিধা ও হাসপাতাল চালুর দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন তারা। গত ২০ এপ্রিল সড়ক অবরোধ করেন তারা। গত ২১ এপ্রিল দাবি না মানা পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে শাটডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিভাগ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে দুই দফা দাবি পূরণে আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের কার্যক্রম চালুর আগ পর্যন্ত সপ্তাহে ছয়দিন সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস সুবিধা দিতে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেখানে পদায়ন।শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় বাস সরবরাহ। দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করে নতুন হাসপাতাল চালুতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়ায় আশ্বস্ত হন শিক্ষার্থীরা। এ কারণে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। দাবি যথাযথ প্রতিফলন না হলে ভবিষ্যতে আন্দলোনে নামার কথাও জানান তারা।

গত কয়েকদিন ধরেই পর্যাপ্ত ওয়ার্ড সুবিধা না দেওয়ার প্রতিবাদ ও দ্রুত হাসপাতাল চালুর দাবিতে আন্দোলন করেছেন সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ