দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে এবং ৮০ জনেরও বেশি আহত করেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও এবং হিজবুল্লাহকে এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননের কিছু অংশে অবস্থান করছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে,হিজবুল্লাহর সাথে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি এবং লেবাননে তাদের কতজন সেনা রয়ে গেছে বা কতদিন থাকবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দখলদারিত্বাধীন স্থানে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় লোকজনের উপর হামলা চালিয়েছে।

লেবাননের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে তাদের একজন সেনা নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননের ‘বিভিন্ন এলাকায় সতর্কীকরণ গুলি’ চালিয়েছে। তবে কেউ আহত হয়েছে কিনা তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। ‘আসন্ন হুমকি’ হওয়ায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ব নন র ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।

নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ