ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পূর্বের মালিক সোনিয়া-মাশুকুরের জামিন চেয়ে মাববন্ধন করেছেন গ্রাহকরা। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্রাহকদের উদ্যাগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে গ্রাহকরা বলেন, ই-অরেঞ্জের বর্তমান মালিক বীথি আক্তার এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমানুল্লাহ মুক্ত অবস্থায় থাকলেও গ্রাহকদের জন্য কাজ করছেন না। গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের কোনো আশা বা নিশ্চয়তার দায়িত্ব কেউ দিচ্ছেন না।

এদিকে সোনিয়া বর্তমানে মালিক না হয়েও তার আইনজীবীর মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মালিকানা ফেরত চেয়ে যোগাযোগ শুরু করেন বলে জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, আদালতের মাধ্যমে মালিকানা সমস্যা নিরসন করতে হবে। যদি সোনিয়া মালিকানা ফেরত পান, তাহলে তাকে ব্যবসা করতে অনুমতি প্রদান করা সম্ভব হবে।

সম্প্রতি সোনিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, সোনিয়া সকল গ্রাহকের দায়িত্ব নিতে চান। কিন্তু এখন যদি তিনি জামিন না পান, তাহলে সকল চেষ্টাই বৃথা যাবে।

গ্রাহকদের মানববন্ধন থেকেও সোনিয়া-মাশুকুরের জামিনে মুক্তির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তারা বলেন, কেবল সোনিয়া-মাশুকুরের মুক্তিই হাজার হাজার গ্রাহককে আর্থিক ক্ষতি হতে বাঁচাতে পারে।

গ্রাহকরা জানান, টাকা পাওয়ার আশা যখন একদমই ক্ষীণ ছিল, এ অবস্থায় সোনিয়া-মাশুকুরের এগিয়ে আসা আবার আশার আলো দেখাচ্ছে। এটা সম্ভব হতে পারে, যদি সোনিয়া-মাশুক জামিন পান।

জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে সোনিয়া-মাশুকুরের একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সকল গ্রাহকদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছে, যাতে তাদের ইতোপূর্বে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশটি বহাল থাকে।

এ বিষয়ে প্রায় ৫০০ গ্রাহকের স্বাক্ষর করা একটি চিঠি এটর্নি জেনারেলসহ আরও কয়েকটি সরকারি দপ্তরে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।

মানববন্ধন থেকে আরও বলা হয়, যদি তাদের হাইকোর্টের জামিন আদেশ বহাল না থাকে এবং অতি সত্তর জামিনে মুক্ত করা না যায়, তবে বড় ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র হকদ র

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যারাডোনাকে হত্যা করা হয়েছে

বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদরো আদালতে চলছে মামলার শুনানি। ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু, নাকি অবহেলা ছিল চিকিৎসকদের, তা খতিয়ে দেখছেন আদালত। কিংবদন্তির শেষ দিনগুলোয় তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন যে আটজন চিকিৎসক, তাঁদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলাজনিত অপরাধের অভিযোগে চলছে বিচার কার্যক্রম।

বাদীপক্ষ ম্যারাডোনার দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনার হয়ে আদালতে লড়ছেন আর্জেন্টাইন আইনজীবী ফের্নান্দো বার্লান্দো। এক টিভি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘পশুর সঙ্গে যেমন আচরণ করে, ডিয়েগোর সঙ্গে সেটাই করা হয়েছে। আদালতে যা কিছু দেখা গেছে, সেটাই প্রমাণ করে।’

আরও পড়ুনমেসির দেহরক্ষীকে নিষেধাজ্ঞা৪ ঘণ্টা আগে

আর্জেন্টিনার টিভি চ্যানেল এলত্রেসে প্রচারিত অনুষ্ঠান ‘লা নোচে দে মিরথা’য় বার্লান্দো ব্যাখ্যা করেন, ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ম্যারাডোনাকে হত্যা করা হয়েছিল—এটা প্রমাণ করাই তাঁর আইনি দলের লক্ষ্য, ‘অবহেলার বিষয়টি আমরা আগেই পেরিয়ে এসেছি। এখন তা বিচারিকভাবে প্রমাণের চেষ্টা করছি।’

এই পৃথিবীতে ডিয়েগোর অনুপস্থিতিতে লাভটা তৃতীয় পক্ষের, যারা তাঁর উত্তরাধিকার নয়। কিছু লোক আছে, যারা কিছু সন্দেহজনক চুক্তিপত্র সইয়ের মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর পরও লাভবান হচ্ছে, এমনকি তাঁর ওপর ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে।ফের্নান্দো বার্লান্দো, ম্যারাডোনার মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনার পক্ষের আইনজীবী

বার্লান্দোর দাবি, পরিকল্পনা করে ছিয়াশির বিশ্বকাপ কিংবদন্তিকে মেরে ফেলা হয়েছে। চিকিৎসাজনিত অবহেলা তাঁর মৃত্যুর কারণ নয়, ‘আমি একমত, কোনো সন্দেহ নেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা আর্জেন্টাইন অভিনেত্রী ও সঞ্চালক মিরথা লেগ্রান্দ আইনজীবী বার্লান্দোর কাছে জানতে চান, ম্যারাডোনাকে মৃত্যুমুখে পতিত করা হয়েছে, নাকি হত্যা করা হয়েছে?’ বার্লান্দোর উত্তর, ‘ম্যারাডোনার মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা আটজন ইচ্ছাপ্রসূত হত্যার দায়ে জড়িত। কেউ যখন সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, এ ক্ষেত্রে যেটা মৃত্যু এবং তাদের আচরণে মনে হয় কিছুই হয়নি, তখন এটা হত্যা।’

ম্যারাডোনার দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ানিন্নার পক্ষের আইনজীবী ফের্নান্দো বার্লান্দো

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ম্যারাডোনাকে হত্যা করা হয়েছে