তীব্র শীতে বিপর্যস্ত গাইবান্ধার জনজীবন। গত চারদিন ধরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। এতে করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। তাদের মধ্যে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে দুজনের।

মৃতরা হলেন, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার টেপা পদুমশহর এলাকার মৃত লালু শেখের ছেলে নইমুদ্দিন শেখ (৬০) ও পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর কাজিরবাজার এলাকার মৃত মাহাফুজার রহমানের ছেলে জুয়েল মিয়া (৫৫)।

শুক্রবার ভোর রাতে জুয়েল মিয়া ও সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নইমুদ্দিন শেখের মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ড.

আসিফ উর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ড. আসিফ বলেন, দুই ব্যক্তিই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসা দিয়েও তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, টানা কয়েকদিন সূর্যের দেখা না মেলায় স্বাভাবিকভাবেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বেশি।

শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি, ও বয়স্করা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। তাদের চিকিৎসা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ব সকষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ