ঘন ঘন ভুলে যাচ্ছেন? ডিমেনশিয়ার উপসর্গ মনে হলেও আদতে ভিটামিনের ঘাটতি নয় তো? ভিটামিন বি১২ শরীরের অতি প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। মানবদেহ সরাসরি এই ভিটামিন উৎপাদন করতে না পারায় এর ঘাটতি দেখা যায়।
মানবদেহের একটি অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ভিটামিন বি১২। রক্তের গঠন ও স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করার জন্য এই ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। মানবদেহ এই ভিটামিন সরাসরি উৎপাদন করতে পারে না। এর জন্য আমাদের শরীরকে নির্ভর করতে হয় যথাযথ খাবার ও ফুড সাপ্লিমেন্টের ওপর। বিশেষ করে নিরামিশাষীদের মধ্যে এ ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়। কারণ, এটি ‘প্লান্টবেসড ভিটামিন’ নয়। ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি বুঝতে অনেক সময় দেরি হয়ে যায়। কারণ, এর উপসর্গগুলো অনেকটা ডিমেনশিয়ার উপসর্গের মতো।
lকোনো বিষয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে? এর কারণ ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি। এই ভিটামিন সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করা রক্তের কোষগুলোকে সক্রিয় রাখে। এই ভিটামিনের অভাব ঘটলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়। ফলে ঘন ঘন সংশয় দেখা দিতে পারে।
l যখন-তখন মুড অফ হয়ে যাচ্ছে? কারণটা ভিটামিন বি১২-এর অভাব। দীর্ঘদিন একইভাবে চলতে চলতে ডিপ্রেশনও হতে পারে। কারণ, ভিটামিন বি১২ কম থাকলে হোমোসিস্টিনের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কিছু টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
l কোনো কিছুতেই ঠিকঠাক মন বসাতে পারেন না? অথচ আগে এ করম হতো না। তাহলে সম্প্রতিই আপনার শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হয়েছে। শরীরে পুষ্টি উপাদানের অভাব ঘটলেই এই মনোসংযোগের সমস্যা হয়।
lপ্রায়ই কোনো জিনিস ভুলে যাওয়া বা কথা বলতে বলতে খেই হারিয়ে ফেলার মতো ঘটনা ঘটলে আগেই ডিমেনশিয়া ভেবে নেবেন না; এটি ভিটামিন বি১২-এর অভাবেও কিন্তু হতে পারে।
কী করবেন?
এই ধরনের উপসর্গগুলো হলেই দেরি না করে চিকিৎসককে দেখিয়ে নিন। এ ছাড়া ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, দুর্বল লাগা, আচমকাই শ্বাস নেওয়ার সমস্যা দেখা দিলে বুঝবেন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। রক্ত পরীক্ষা করলেই ধরা পড়বে আপনার ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি আছে কিনা। তখন প্রয়োজনীয় খাবার ও ফুড সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এই ভ ট ম ন র উপসর গ
এছাড়াও পড়ুন:
বিকাশ–রকেট–ডেবিট কার্ডে কেন মেট্রোরেলের রিচার্জ সুবিধা চালু হচ্ছে না
ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হয়েছে দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়েছে। গণপরিবহনের এই বাহনটি ধীরে ধীরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যস্ত সময়ে ভিড়ের কারণে অনেক যাত্রী উঠতেও পারছেন না। এখন দৈনিক যাত্রী সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এগোচ্ছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। কিন্তু এখনো টিকিট বা পাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। স্থায়ী পাসে টাকা শেষ হয়ে গেলে নতুন করে টাকা ভরার জন্য (রিচার্জ) এখনো স্টেশনে গিয়ে লাইন দিতে হয়। অথচ বিশ্বের অনেক দেশেই ঘরে বসে টাকা রিচার্জ করা যাচ্ছে।
মেট্রোরেল পরিচালনায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টিকিট সরবরাহ বৃদ্ধি ও ঘন ঘন ট্রেন পরিচালনা করা গেলে যাত্রী আরও বাড়বে। ঘরে বসে স্থায়ী র্যাপিড বা এমআরটি পাস রিচার্জ করা গেলে যাত্রীদের দুর্ভোগও কমে যাবে।
প্রশ্ন হচ্ছে—যাত্রীদের দুর্ভোগ কমানোর উদ্যোগ কেন নেওয়া হচ্ছে না? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, টিকিট সরবরাহ ও রিচার্জ সহজীকরণ বিষয়টি সরকারি দপ্তরের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়েছে। মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। কিন্তু স্থায়ী বা র্যাপিড পাস সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। স্থায়ী পাসের রিচার্জ আরও সহজ করার কাজটিও ডিটিসিএর হাতে রয়েছে। ফলে দুই সংস্থার ঠেলাঠেলিতে দুই বছরেও টিকিট কাটা ও রিচার্জ সহজ করা যায়নি।
দীর্ঘদিন ধরেই ডিএমটিসিএলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন সরকারের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। গত মাসের শেষের দিকে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনায় আন্তর্জাতিকভাবে বিশেষজ্ঞ ফারুক আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মেট্রোরেল