বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “আমরা মানবিক, দুর্নীতি ও দুঃশাসন মুক্ত বাংলাদেশ কায়েম করব। এর আগে আমরা থামব না। আল্লাহর কসম থামব না। আমরা রক্তচক্ষু পরোয়া করি না। আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করব না।’

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে চুয়াডাঙ্গার টাউন ফুটবল মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা.

শফিকুর রহমান বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাদের (আওয়ামী লীগ) দুঃশাসনকালে জামায়াতের বহু নেতাকর্মীকে ক্রসফাযারের নামে হত্যা করা হয়েছে। শুধু জামায়াত নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরকেউ ছাড় দেওয়া হয়নি।” 

আরো পড়ুন:

লড়াই এখনো শেষ হয়নি: জামায়াতের আমির

সর্বদলীয় বৈঠকে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি

তিনি বলেন, “এমন উন্নয়ন কাজ ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান করেছিলেন যে, ৫ আগস্ট নিজেদরের রান্না করা ভাতটাও খেয়ে যেতে পারেনি। দেশ ত্যাগ করেছেন, দেশে ফিরে আসেন, কাশিমপুর কারাগার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।” 

জামায়াতের আমির বলেন, “চুয়াডাঙ্গার বিগত দিনের রাজনৈতিক নেতারা সব স্থান থেকে কমিশন খেয়ে টাকার পাহাড় গড়ে পালিয়েছেন। কথা দিচ্ছি, জামায়াতে ইসলামীকে আপনারা ক্ষমতায় পাঠালে ইনসাফ অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গার উন্নয়ন হবে।” 

চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়েত ইসলামীর আমির মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন, সাবেক আমির আনোয়ারুল হক মালিক ও মাওলানা আজিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ