ডি ব্রুইনা–মারমুশদের বহুদিন পর মনে পড়ল—আমরা ম্যানচেস্টার সিটি
ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ২১ মিনিটে দুই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যানচেস্টার সিটির আরেকটি হার মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। এই হার পয়েন্ট তালিকায় ছয়ে থাকা সিটির দুরবস্থাকে আরও বাড়িয়ে দিত।
শঙ্কায় ফেলতে পারত চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলাও। কিন্তু দুই গোল হজম করা সিটি ইতিহাদে ঘুরে দাঁড়াল দারুণভাবে। প্রথমার্ধে সমতা ফেরানোর পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন গোল করে ম্যাচটা তারা জিতেছে ৫–২ ব্যবধানে। স্বস্তির এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার চারেও উঠে এসেছে সিটি।
৩২ ম্যাচ শেষে চারে থাকা সিটির পয়েন্ট এখন ৫৫। এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে ১৮ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে তারা। লিভারপুলের পয়েন্ট ৩১ ম্যাচে ৭৩।
ঘরের মাঠে থিতু হওয়ার আগেই ৮ মিনিটে গোল খেয়ে বসে সিটি। গোল করেন ক্রিস্টালের এবেরেচি এজে। পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফেরার চেষ্টা করা সিটি বড় সুযোগ হাতছাড়া করে ১৪ মিনিটে। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ওমর মারমুশ। স্বাগতিকদের বিপর্যয় আরও বাড়ে ২১ মিনিটে। ক্রিস্টালের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন ক্রিস রিচার্ডস।
জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মরিয়া হয়ে ওঠে সিটি। এর মধ্যে অবশ্য একাধিকবার কাছাকাছি গিয়ে গোলবঞ্চিতও হয় তারা। তবে শেষ পর্যন্ত সিটিকে ফ্রি–কিক থেকে গোল এনে দেন অভিজ্ঞ কেভিন ডি ব্রুইনা। এরপর অবশ্য সমতা ফেরাতেও বেশি সময় নেয়নি পেপ গার্দিওলার দল। ৩ মিনিট পর ওমর মারমুশের গোলে সমতায় ফেরে সিটি। সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে সিটি যেন আরও ক্ষুরধার। ৪৭ মিনিটে মাতেও কোভাচিচ এগিয়ে দেন সিটিকে। এরপর ৫৬ মিনিটে জেমস ম্যাকাথে এবং ৭৯ মিনিটে নিকো ও’রেইলির গোল ক্রিস্টালের ম্যাচে ফেরার পথ একেবারেই বন্ধ করে দেয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অতিথিরা ম্যাচে আর ফিরতেও পারেনি তারা। সিটি পেয়ে যায় ৫–২ গোলের দারুণ এক জয়!
এই ম্যাচে সিটির জয়ের অন্যতম নায়ক ডি ব্রুইনা। ম্যাচজুড়ে অসাধারণ খেলে সিটিকে বিপর্যয় থেকে বের করে এনেছেন তিনি। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে বদলি হিসেবে নেমে যাওয়ার আগে সিটি সমর্থকেরা দাঁড়িয়ে অভিবাদনও জানান তাঁকে। ম্যাচে এক গোল করার পাশাপাশি একটি গোলে সহায়তাও করেন এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।