মির্জাপুরে একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব, জীবিত ৩ নবজাতক

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালের এনআইসিইউতে তিন নবজাতক
ছবি : সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে আঁখি মণ্ডল নামের এক গৃহবধূ একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব করেছেন। গতকাল রোববার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি তিনটি জীবিত ও একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। আঁখি মণ্ডল পার্শ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের যতুকী গ্রামের রতন কুমার সরকারের স্ত্রী।

হাসপাতাল ও আঁখির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৩ বছর আগে রতন কুমার সরকারের সঙ্গে আঁখির বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাঁদের ঘরে আসে এক ছেলেসন্তান। ছেলেটি জন্মের চার দিন পর মারা যায়। তাঁদের সংসারে সাত বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন পর আঁখি আবার গর্ভধারণ করেন।

গত রোববার সন্ধ্যায় প্রসবব্যথা উঠলে আঁখিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জরুরি ভিত্তিতে তাঁর অস্ত্রোপচার করানো হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মেহেরুন নেছা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চারটি সন্তান প্রসব করান। নবজাতকদের মধ্যে এক ছেলে মায়ের গর্ভেই মারা যায়। অন্য এক ছেলে ও দুই মেয়ে সুস্থ আছে।

মেহেরুন নেছা জানান, একসঙ্গে চার সন্তান গর্ভধারণের বিষয়টি বিরল। চিকিৎসাবিদ্যামতে, প্রতি ৫ লাখ ১২ হাজার গর্ভধারণে এটি একবার ঘটে। এ ধরনের ঘটনা গর্ভধারণকৃত মা ও চিকিৎসকদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা ও নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসবের ঝুঁকি থাকে। আঁখির ক্ষেত্রে সময়ের আগেই প্রসবের ঘটনা ঘটেছে। মা ও তিন নবজাতক সুস্থ রয়েছে। তিন নবজাতককে হাসপাতালের এনআইসিউতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আঁখির স্বামী রতন কুমার সরকার বলেন, ‘চার সন্তানের মধ্যে তিনজন জীবিত। ভগবান ওদের মাকেসহ সবাইকে বাঁচিয়ে রাখুক। তাইলেই আমরা সবাই খুশি থাকব।’