মার্কিন আদালতে তদন্ত চলবে, এ খবরে কমেছে আদানির শেয়ারের দাম

আবারও ভারতের আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম পড়ে গেছে। গতকাল বুধবার আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার দর ৪ দশমিক ৩ শতাংশ কমে হয়েছিল ২ হাজার ১২৩ টাকা। এর পাশাপাশি আদানি পোর্টস, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পাওয়ার, আদানি টোটাল গ্যাসের মতো একাধিক সংস্থার শেয়ার দর কমেছিল।

তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম কিছুটা বেড়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সেই সঙ্গে আদানি পাওয়ার, আদানি গ্রিন এনার্জির দামও বেড়েছে। আদানি পাওয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশ। খবর ইকোনমিক টাইমস।

বুধবার বাজার খোলার পর আদানি এন্টারপ্রাইজ ও আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ারের দাম কমেছে সবচেয়ে বেশি। এই দুই স্টকের দাম ৪ দশমিক ৩ শতাংশের মতো কমে যায়। আদানি পোর্টস, আদানি পাওয়ার, আদানি এনার্জি সলিউশন, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি উইলমারের শেয়ারদর আড়াই শতাংশের মতো কমে যায়। আম্বুজা সিমেন্ট ও এসিসি সিমেন্টের শেয়ারের দাম কমে ২ শতাংশের মতো। শেয়ারদরের এই পতনের জেরে আদানির বিভিন্ন কোম্পানির বাজার মূলধন কমেছে।

গতকাল আদানি গোষ্ঠীর সব কোম্পানির শেয়ারের দাম হ্রাসের সঙ্গে মার্কিন আদালতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘুষকাণ্ড নিয়ে চলমান তদন্তের সম্পর্ক আছে। আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি, ভাতিজা সাগর আদানিসহ গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়।

বিষয়টি নিয়ে তদন্ত অব্যাহত রাখবে বলে ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঘুষকাণ্ডের তদন্তের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাহায্য চেয়েছে এসইসি।

মঙ্গলবার ইউএস সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আমেরিকার এক জেলা আদালতকে জানিয়েছে, আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের কাজ জারি রয়েছে এবং এ নিয়ে ভারতের আইন মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। এ খবর সামনে আসার পর বুধবার সকালে ধস নামে আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার স্টকে।

এদিকে বাংলাদেশের চাহিদার সাপেক্ষে আদানি গোষ্ঠী চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে সম্প্রতি বলা হয়েছে। যদিও এই বিদ্যুতের দাম নিয়ে বাংলাদেশের আপত্তি আছে, আদানি গোষ্ঠী বলেছে, দামে ছাড় দেওয়া হবে না।