আশুলিয়ায় গ্যাসের বিস্ফোরণে নারী–শিশুসহ দগ্ধ ১১ জন
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় একটি আবাসিক ভবনে গ্যাসের বিস্ফোরণে শিশুসহ অন্তত ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ ব্যক্তিদের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর আবাসিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, দগ্ধ ব্যক্তিদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন সূর্য বানু (৫৫), জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৩), সোহেল রানা (৩৮), সুমন মিয়া (৩০), শিউলি আক্তার (২৫), শারমিন (২৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (৭), সোয়ায়েদ (৪) ও সুরাহা (৩)।
স্থানীয় লোকজন জানান, আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় সুমন মিয়া তাঁর পরিবার নিয়ে ভাড়ায় থাকেন। শুক্রবার রাতে তাঁর ভাই সোহেল রানা পরিবার নিয়ে সুমনের বাসায় বেড়াতে আসেন। পরে শবে বরাত উপলক্ষে রান্নাঘরে পিঠা বানানোর সময় গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়। এতে আগুন ধরে গেলে বাসার ভেতরে থাকা শিশু–নারীসহ মোট ১১ জন দগ্ধ হন। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের উদ্ধার করে আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দগ্ধ ব্যক্তিদের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় দগ্ধ সোহেল রানা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘শবে বরাত উপলক্ষে আমার ভাই সুমনের বাসায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে পিঠা বানানোর সময় হঠাৎ গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘরে আগুন ধরে গেলে পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়।’
আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ার অফিসার মেসবাহ প্রথম আলোকে বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারী–শিশুসহ দগ্ধ ১১ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।