স্ত্রী–প্রেমিকাদের ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে যাবেন রোহিত–কোহলিরা
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে। দুবাইয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে দুই দল। এ জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের উদ্দেশে উড়াল দেবে ভারত ক্রিকেট দল। তিন সপ্তাহব্যাপী এ টুর্নামেন্টে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের কেউ দুবাইয়ে যাবেন না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই প্রথমবারের মতো কার্যকর হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ভ্রমণনীতি।
বিসিসিআইয়ের নতুন ভ্রমণনীতি অনুযায়ী, ন্যূনতম ৪৫ দিনের সফরে পরিবারের সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ সময় কাটাতে পারবেন ভারতের খেলোয়াড়েরা। করাচিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ৯ মার্চের ফাইনালে। ভারতের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারত ফাইনালে খেলবে—এটা বিবেচনায় রেখেও খেলোয়াড়দের পরিবারের সঙ্গ পেতে দেবে না বিসিসিআই।
দুবাইয়ে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ খেলবে ভারত। ‘এ’ গ্রুপ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে রোহিত শর্মার দল। ২ মার্চ শেষ ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআইয়ের এক জ্যেষ্ঠ সূত্র ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘পরে কোনো কিছু পাল্টানো হলে সেটা ভিন্ন কথা। তবে এখন পর্যন্ত এই সফরে স্ত্রী কিংবা প্রেমিকার সঙ্গে পাবেন না খেলোয়াড়েরা। সিনিয়র খেলোয়াড়দের একজন এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েছিলেন। তাকে বলা হয়েছে, (ভ্রমণ) নীতির সিদ্ধান্ত মেনে চলা হবে।’
সেই সূত্র আরও বলেছেন, ‘সফর যেহেতু এক মাসেরও কম সময়ের, খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাই তাদের পরিবার থাকবে না। তবে ব্যতিক্রমী কিছু ঘটলে, আমার মনে হয় সেই খেলোয়াড়কে পুরো ব্যয়ভার বহন করতে হবে, বিসিসিআই খরচ দেবে না।’
বিসিসিআইয়ের ভ্রমণনীতিতে বলা হয়েছে, ‘খেলোয়াড়েরা ৪৫ দিনের বেশি বিদেশ সফরে থাকলে প্রতি সিরিজে (সংস্করণ অনুযায়ী) একবার করে তারা জীবনসঙ্গী ও সন্তানদের সাহচর্য পেতে পারেন, সেটা সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ পর্যন্ত। এই নীতির বিচ্যুতির জন্য অবশ্যই কোচ, অধিনায়ক ও জিএম অপারেশনসের পূর্ব অনুমোদন লাগবে। সাক্ষাতের সময়ের বাইরে যেকোনো অতিরিক্ত খরচ বিসিসিআই বহন করবে না।’
আগামী জুন-জুলাই-আগস্টে ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলবে ভারত। তখন পরিবারকে পাশে পাবেন খেলোয়াড়েরা। দেখা-সাক্ষাতের জন্য তখন দুই সপ্তাহের উইন্ডোটি পরে ঠিক করা হবে। গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া সফরে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ৩-১ ব্যবধানে হারে ভারত। ড্রেসিংরুমে শৃঙ্খলা ফেরাতে এরপরই নতুন ভ্রমণনীতির খসড়া অনুমোদন করা হয়।
বিসিসিআইয়ের সেই সিনিয়র অফিশিয়াল জানিয়েছেন, ভারতের ক্রিকেট বোর্ড এরই মধ্যে কিছু নিয়ম কার্যকর করেছে, ‘খেয়াল করলে দেখবেন, অনুশীলনে যেতে কোনো খেলোয়াড়ই ব্যক্তিগত যানের কথা বলেনি।’ এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিরতির সময় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার নিয়ম পালনও করেছেন কোহলি-রোহিতরা।
দল ও কোচিং স্টাফের সঙ্গে একই হোটেলে এর আগে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত কর্মীরা যেমন ম্যানেজার, এজেন্ট কিংবা পাচকও থাকতে পারতেন। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, কোচিং স্টাফের এক সদস্যের ব্যক্তিগত সচিব, যাকে এর আগে নিয়মিত টিম হোটেলে দেখা গেছে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজে তাঁকে মাঠে দেখা গেলেও থেকেছেন অন্য হোটেলে। কিছু খেলোয়াড়ের বিশেষ খাবারের জন্য কয়েকজন পাচকও নিয়ে যাবে বিসিসিআই।