মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজ, লাশ মিলল গোমতী নদীতে
কুমিল্লার দেবীদ্বারে গোমতী নদী থেকে আছমত আলী (৮৫) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, ওই ব্যক্তি ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে নদীতে মরদেহ পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাশ উদ্ধারের তথ্য পেয়েছেন তাঁরা।
আজ সোমবার সকালে দেবীদ্বার পৌর এলাকার উত্তরপাড়া কাজীবাড়ি–সংলগ্ন শিবনগর গোমতী নদীর সেতুর নিচ থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে থানা–পুলিশ। দুপুরের দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিবার লাশ উদ্ধারের খবর পায়। বৃদ্ধ আছমত আলী উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের শাকক্তলা গ্রামের বাসিন্দা।
আছমত আলীর ছেলে আল-আমিন বলেন, ‘দেবীদ্বার পৌর এলাকার বালিবাড়ি গ্রামে আমার বড় বোন পারভীন আক্তারের স্বামীর বাড়ি। সেখানে মা-বাবা বেড়াতে গিয়েছিলেন। আজ দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পাই শিবনগর গোমতী নদীর ব্রিজের নিচ থেকে বাবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আমরা থানায় যাই।’
বৃদ্ধের মেয়ে পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা প্রায় ২০ দিন আগে আমার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এরপরও প্রতিদিন ভোরে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যেতেন। আজ ভোরেও মসজিদে গেছেন। সকালে নাশতা খাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে দেখি, বাবা ঘরে নেই। এর পর থেকেই বাবার কোনো খোঁজ না পেয়ে আমরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকি। পরে দুপুরে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি বাবার লাশ পাওয়া গেছে। কীভাবে তিনি নদীতে পড়েছেন বা তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সেটা আমরা বলতে পারছি না।’
নিহত আছমত আলীর মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই উল্লেখ করে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অজু করার সময় বা অন্য কোনোভাবে মাথা ঘুরিয়ে নদীতে পড়ে গেছেন, এতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মেয়ের বাড়ি গোমতী নদীর পাড়ে। তবে যেখান থেকে তিনি নিখোঁজ হন বা পড়ে গেছেন, সেখান থেকে লাশ পাওয়ার স্থানের দূরত্ব প্রায় আড়াই কিলোমিটার। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, নদীর পানির স্রোতে লাশ ভেসে এত দূর চলে এসেছে।’