ঘরের মাঠে ৩৪ বছর পর উইন্ডিজের বিপক্ষে হারল পাকিস্তান

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাবু করতে ঘরের মাঠে উইকেটে মরণ ফাঁদ পেতেছিল পাকিস্তান। তবে শান মাসুদের দল শেষ পর্যন্ত নিজেদের সেই ফাঁদেই ধরা পড়ল। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের দরকার ছিল ১৭৮ রান; হাতে ছিল ৬ উইকেট। তবে যে বধ্যভুমিতে ১০ উইকেট নিয়েও ১৭৮ রান তাড়া করা কঠিন, সেখানে সেরা ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিভাবে এত বড় লক্ষ্য অর্জন করবে পাকিস্তান?
মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে সেই অসাধ্যকে সাধনও করতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। ২৫৩ রান তাড়া করতে নামা পাকিস্তানকে ১৩৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ জিতেছে ১২০ রানে। ফলে ১-১ সমতা এনে সিরিজ শেষ করল ক্যারিবিয়ানরা। টেস্টে ৩৪ বছর পর তারা জয় পেয়েছে পাকিস্তানে। সবশেষ জিতেছিল ১৯৯০ সালের নভেম্বরে।
পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানের হার চোখ রাঙাচ্ছিল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষেই। সেই শঙ্কায় কি না স্বাগতিকরা আজ তৃতীয় দিন সকালেই এক প্রকার ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। দিনের প্রথম আট বলের মধ্যেই আউট হয়েছেন আগের দিনের দুই অপরাজিত সাউদ শাকিল ও কাশিফ আলী। ১৩ রান করা শাকিল ক্যাচ দিয়েছেন কেভিন সিনক্লেয়ারের বলে। অন্যদিকে কাশিফ শিকার হন জোমেল ওয়ারিক্যানের।
সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমান কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ঘূর্ণি পিচে আর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারলেন না এই দুজন। ৩৯ রানের জুটি ভেঙে দুজনকেই ফিরিয়েছেন ওয়ারিক্যান। বাঁহাতি এ স্পিনার শেষ ব্যাটসম্যান সাজিদ খানকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন ইনিংসে ৫ উইকেটও। তৃতীয় দিনে সর্বসাকুল্যে ২০ ওভার ব্যাটিং করে ৫৭ রানে বাকি ৬ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। পাকিস্তানকে মাঠ ছেড়তে হয় ১২০ রানের বিশাল হার নিয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসের ফাইপারের সাথে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট আর ব্যাট হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৪ রান করে ম্যাচসেরাও হয়েছেন ওয়ারিক্যানই। এখানেই শেষ নয় দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৮৫ রান ও ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরাও ৩২ বছর বয়সী এই স্পিনার।
ঢাকা/নাভিদ