বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে বাংলাদেশের সাথিরা
সাথিরা জাকির জেসির স্বপ্নটা তাহলে পূরণ হওয়ার পথে!
আগামী শনিবার মালয়েশিয়ায় শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টে খেলা পরিচালনার জন্য আজ ২০ সদস্যের ম্যাচ অফিশিয়ালের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। সেই তালিকায় আছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা।
৩৪ বছর বয়সী সাথিরা এখন পর্যন্ত মেয়েদের ২৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। গত বছর জুলাইয়ে নারী এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতেও আম্পায়ারিং করেছেন। ডিসেম্বরে মালয়েশিয়াতেই হয়ে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতেও তাঁকে আম্পায়ারের ভূমিকায় দেখা গেছে।
তবে সাথিরার স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করার। গত অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনস্বত্বও পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই টুর্নামেন্টে সাথিরার আম্পায়ারিং করার ব্যাপারে বিসিবিও আশাবাদী ছিল।
কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তা সরিয়ে নেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সাথিরাকেও সেই টুর্নামেন্টে ম্যাচ অফিশিয়ালদের তালিকায় রাখা হয়নি। তিন মাস পর আরেকটি বিশ্বকাপ দিয়ে তাঁর আশা পূরণ হতে চলেছে। হোক না সেটা বয়সভিত্তিক দলের বিশ্বকাপ।
আম্পায়ার থাকছেন যাঁরা: সাথিরা জাকির জেসি (বাংলাদেশ), অ্যাশলি গিবনস (অস্ট্রেলিয়া), গায়ত্রী বেণুগোপালান ও নারায়ণান জননী (ভারত), আইডান সিভার (আয়ারল্যান্ড), নীতীন বাথি ও রিজওয়ান আকরাম (নেদারল্যান্ডস), রাহুল আশের (ওমান), সালিমা ইমতিয়াজ (পাকিস্তান), শিবানী মিশ্র (কাতার), কেরিন ক্লাস্তে (দক্ষিণ আফ্রিকা), দেনুডু ডি সিলভা (শ্রীলঙ্কা), বিজয় প্রকাশ মাল্লেলা (যুক্তরাষ্ট্র), ক্যান্ডেস লা বোর্দে ও মারিয়া অ্যাবট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ফরস্টার মুতিজা (জিম্বাবুয়ে)।
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০ জন ম্যাচ অফিশিয়ালের ১৬ জন আম্পায়ার। সেখানে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন সাথিরা। ম্যাচ অফিশিয়ালের দায়িত্বে থাকছেন আরও ১৩ দেশের ১৯ জন। ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন ৪ দেশের ৪ জন। ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নেদারল্যান্ডস থেকে আম্পায়ার থাকছেন ২ জন করে।
তালিকায় আছেন কাতারের শিবানী মিশ্রও, যিনি ২০১৯ সালে প্রথম নারী অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।
ম্যাচ রেফারি থাকছেন যাঁরা: রিওন কিং (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ট্রুডি অ্যান্ডারসন (নিউজিল্যান্ড), ডিন কস্কার (ইংল্যান্ড) ও ডেভিড গিলবার্ট (অস্ট্রেলিয়া)।
ম্যাচ অফিশিয়ালদের শুভকামনা জানিয়ে আইসিসির আম্পায়ার্স ও রেফারিজ বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক শন ইয়াসে বলেছেন, ‘এই ইভেন্টে নির্বাচিত আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের অভিনন্দন। তাঁরা দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করে এটা অর্জন করেছেন। এটি একটি বৈচিত্র্যময় দল, যা সত্যিই চমৎকার। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তাঁরা ভালো পারফর্ম করবেন এবং কেউ কেউ খেলাটির আরও উঁচু স্তরে দায়িত্ব পালন করার দিকে অগ্রসর হবেন।’
গত বছরের মার্চে আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে যুক্ত হন সাথিরা। আম্পায়ার হিসেবে বড় মঞ্চে ভালো করার প্রস্তুতি বাংলাদেশে ছেলেদের ঘরোয়া ক্রিকেটেও ম্যাচ পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।
২০২৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেবার ম্যাচ অফিশিয়ালের তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের দুজন—আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ ও ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ। শরফুদ্দৌলা এখন আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার। নিয়ামুর চলমান বিপিএলে দায়িত্ব পালন করছেন।