জাপান বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান বলেছেন, আমাদের সমাজে যদি কেউ ভাল কিছু করতে চায় তাহলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়। তার পেছনে একটি চক্র লেগে যায়, তাকে খারাপ বানাতে উঠে পড়ে লাগে সবাই।

আমি সব সময় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, আর আমার বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছে গাজী বাহিনীর মজিবর। ভেবে ছিলাম দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই পরিস্থিতি বদলাবে। কিন্তু কিছুই বদলায় নাই।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি চাঁদাবাজি মামলায় হাজিরা শেষে শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন সেলিম প্রধান।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা রূপগঞ্জের দিকে নজর দিন। বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে রূপগঞ্জ সব থেকে খারাপ অবস্থায় আছে। সবাই একসাথে মিলে মাত্র কয়েকটা বছর কেন দেশটাকে গড়ার কাজ করতে পারিনা আমরা। আর কতদিন জ্বালাবে এরা।

রাস্তাঘাটে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে চাঁদাবাজি হচ্ছেনা। চাঁদাবাজিটা হলো মানুষের সাথে জুলুম করে টাকা নেয়া। অথচ আমি সেলিম প্রধান নাকি চাঁদাবাজি করেছি তাও ৫ লাখ টাকা। মামলা দিয়েছে গাজীর পিএস, গাজী বাহিনী, আর মামলা নিয়েছে রূপগঞ্জ থানা।

মামলা দেয়ার উদ্দেশ্য হলো আমি যাতে এলাকায় যেতে না পারি আর তারা দেদারসে চাঁদাবাজি করতে পারে। এটাই হলো গ্যাং। মামলা দিবে নয়তো পোলাপাল ভাড়া করবেন। এরপর না পারলে শুটার ভাড়া করে আপনাকে শুট করে দিবে। আওয়মা লীগের আমালে আমার নামে ৮টি মামলা দেয়া হয়েছে।

রূপগঞ্জের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, আগে ১৫ বছর রূপগঞ্জে যে অবস্থা ছিলো এখনো সেই অবস্থাই আছে। আগে যেমন মানুষকে ভয় দেখিয়ে রাখতো এখনো সেই ভয়। ভয়ে কেউ মুখ খুলে না। আপনি যদি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন আপনার উপর হামলা হবে। কারা করছে সবাই সব জানে কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলে না।

সেলিম প্রধানের পক্ষের আইনজীবী জানান, চাঁদাবাজি মামলাটি পুলিশের তদন্তে মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়েছে। কিন্তু মামলার বাদী এতে নারাজি দেয়ায় আদালত পুনরায় পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করছি পিবিআই তদন্তেও মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমানিত হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

তরমুজ তুলতে মাঠে নারী শ্রমিক

২ / ৯পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও তরমুজের মাঠে কাজ করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ