ট্রাম্প প্রশাসনকে না চটিয়ে বরং আলোচনা ও সমঝোতা স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা অতিরিক্ত শুল্কের সমস্যা সমাধান করতে চান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।  

এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবো, সমঝোতা করবো। কিন্তু ওদের চটানো যাবে না। আমেরিকা সরকার তিন মাস সময় দিয়েছে (আরোপিত শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত), প্রয়োজনে আরও বেশি সময় চাইবো।’’

বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামশর্ক কমিটির ৪৫তম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে এ সভা হয়।

চলতি মাসের শুরুতে বিশ্বের অনেক দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ করে দেশটি। তবে পরবর্তীসময়ে ৯০ দিনের জন্য অতিরিক্ত শুল্ক স্থগিত করা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিকারকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

বর্তমানে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য চ্যালেঞ্জের মুখে আছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড.

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে নিয়ে দেশ গড়ার। আমাদের উদ্দেশ্য মানুষের জীবন-জীবিকা সহজ করা। গালমন্দ খাচ্ছি, সেটা মেনে নিছি। আগামী বাজেটে চেষ্টা করবো সহানুভূতিশীল হওয়ার, আপনারাও সহানুভূতিশীল হবেন। উইন উইন অবস্থা।’’

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের ধারণা খুবই ভালো। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশের কিছু মানুষের সমালোচনা। তখন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। গঠনমূলক সমালোচনা করুন। বিশ্বব্যাংক আমাদের সঙ্গে আছে, আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতা চলছে। আইএমএফের ঋণের ব্যাপারে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই।’’

এরই মধ্যে সামষ্টিক অর্থনীতিতে কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রত্যাশার ফুলঝুড়ি থাকবে না এবং বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট দেওয়া হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।

হাসনাত/তারা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের মুক্তমঞ্চ গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন, সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিবাদ

ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ