সিকদার গ্রুপের রন হকসহ পরিবারের কয়েকজনের ২০৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
Published: 30th, April 2025 GMT
এবার শিল্পগোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার, তাঁর মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাঁদের পরিবারের কয়েকজনের নামে থাকা ২০৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
দুদক আদালতকে লিখিতভাবে বলেছে, মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এ সময় সিকদার পরিবারের মালিকানাধীন ২০৩টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। তাই এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। শুনানি নিয়ে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১১ মার্চ রন হক সিকদার, তাঁর মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাঁদের পরিবারের ১৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্য ১২ জন হলেন রন হক সিকদারের ভাই মমতাজুল হক সিকদার, নাসিম সিকদার, দিপু হক সিকদার, রিক হক সিকদার, বোন পারভীন হক সিকদার ও লিসা ফাতেমা হক সিকদার, পারভীনের স্বামী সালাউদ্দিন খান, নাসিম সিকদারের মেয়ে মনিকা খান সিকদার, পারভীনের মেয়ে জেফরী খান সিকদার ও মেন্ডি খান সিকদার, রন হক সিকদারের ছেলে শন হক সিকদার এবং রিক হক সিকদারের ছেলে জন হক সিকদার।
এর আগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর শিল্পগোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের রন হক সিকদার, তাঁর মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাঁদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত। মোট ১৫টি ভবন ও ফ্লোর জব্দের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া গত ৯ মার্চ রন হক সিকদার, তাঁর মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ৪২টি বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদার। ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই রিক হক সিকদার। তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকটির বিপুল অর্থ লুট ও বিদেশে পাচার করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, জনগণের আমানতের অর্থ আত্মসাৎ করে তাঁরা নিজেদের, পরিবারের সদস্যদের ও নিকট আত্মীয়দের নামে-বেনামে প্রচুর সম্পদ গড়েছেন।
আরও পড়ুনরন হক সিকদারের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দ ১০০ একর জমি জব্দের আদেশ২১ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র পর ব র র অবর দ ধ মন য় র
এছাড়াও পড়ুন:
সিকদার গ্রুপের রন হকসহ পরিবারের কয়েকজনের ২০৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
এবার শিল্পগোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার, তাঁর মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাঁদের পরিবারের কয়েকজনের নামে থাকা ২০৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
দুদক আদালতকে লিখিতভাবে বলেছে, মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এ সময় সিকদার পরিবারের মালিকানাধীন ২০৩টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। তাই এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। শুনানি নিয়ে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১১ মার্চ রন হক সিকদার, তাঁর মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাঁদের পরিবারের ১৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্য ১২ জন হলেন রন হক সিকদারের ভাই মমতাজুল হক সিকদার, নাসিম সিকদার, দিপু হক সিকদার, রিক হক সিকদার, বোন পারভীন হক সিকদার ও লিসা ফাতেমা হক সিকদার, পারভীনের স্বামী সালাউদ্দিন খান, নাসিম সিকদারের মেয়ে মনিকা খান সিকদার, পারভীনের মেয়ে জেফরী খান সিকদার ও মেন্ডি খান সিকদার, রন হক সিকদারের ছেলে শন হক সিকদার এবং রিক হক সিকদারের ছেলে জন হক সিকদার।
এর আগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর শিল্পগোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের রন হক সিকদার, তাঁর মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাঁদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত। মোট ১৫টি ভবন ও ফ্লোর জব্দের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া গত ৯ মার্চ রন হক সিকদার, তাঁর মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ৪২টি বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদার। ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই রিক হক সিকদার। তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকটির বিপুল অর্থ লুট ও বিদেশে পাচার করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, জনগণের আমানতের অর্থ আত্মসাৎ করে তাঁরা নিজেদের, পরিবারের সদস্যদের ও নিকট আত্মীয়দের নামে-বেনামে প্রচুর সম্পদ গড়েছেন।
আরও পড়ুনরন হক সিকদারের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দ ১০০ একর জমি জব্দের আদেশ২১ এপ্রিল ২০২৫