ছিপছিপে গড়নের লাস্যময়ী অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন ২০০৭ সালে বলিউডে পা রাখেন। অভিষেকে সহশিল্পী হিসেবে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানকে পান। ‘ওম শান্তি ওম’ সিনেমার পর ৭ বছরের বিরতি নিয়ে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ সিনেমায় পর্দা ভাগ করে নেন এই যুগল। এরপর এক দশকের বিরতি নিয়ে ‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’ সিনেমায় শাহরুখের সঙ্গে পর্দায় দ্যুাতি ছড়ান দীপিকা। পঞ্চমবারের মতো পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন এই জুটি।
পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, খানিকটা সময় নিয়েই এখন সিনেমার কাজ করছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তার নতুন সিনেমা ‘কিং’ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এ সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে কাজ করছেন তার কন্যা সুহানা খানও। এতেই শাহরুখের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন দীপিকা। এটি পরিচালনা করছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ।
একটি সূত্র পিঙ্কভিলাকে বলেন, “কিং’ সিনেমায় দীপিকা পাড়ুকোন অভিনয় করুক, শাহরুখ খান এটা সবসময়ই চেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে দীপিকার শুটিং শিডিউল মিলছিল না। কারণ গত বছরের শেষের দিকে মা হয়েছেন দীপিকা। ফলে নবজাতকের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য সময় নিচ্ছিলেন। তাছাড়া ফিট হওয়ার জন্য জিমে যাওয়া শুরু করেন। এ কারণে ‘কিং’ সিনেমার কাজও পিছিয়েছে। এখন শিডিউল জটিলতা কেটেছে এবং সিনেমাটির মাধ্যমে ফিরছেন দীপিকা।”
আরো পড়ুন:
বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বেচে দিলেন শাহরুখের স্ত্রী
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট বসল ইডেনে
‘জওয়ান’ সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে দেখা যায় দীপিকাকে। তবে ‘কিং’ সিনেমায় এমনটা নয়। বরং বড় চরিত্রে দেখা যাবে দীপিকাকে। এ সিনেমা সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলেন, “সমস্ত আলোচনা, শুটিংয়ের সময় নির্ধারণের পর দীপিকা পাড়ুকোনকে সিনেমাটিতে রাখার সবকিছু ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”
চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ‘কিং’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেবেন দীপিকা পাড়ুকোন। সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আরো অভিনয় করবেন— অভিষেক বচ্চন, জয়দীপ আহলাওয়াত। আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাচ্চাসহ ভালুকের বিচরণ, সতর্কতা
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলমাছড়া অভয়ারণ্যে দুর্লভ প্রজাতির এশিয়াটিক কালো প্রজাতির ভালুকের বিচরণের খবর পাওয়া গেছে। বাচ্চাসহ একটি ভালুকের বিচরণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় বনে প্রবেশে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বন বিভাগ।
তেলমাছড়া বনের বনরক্ষী সাদেকুর রহমান জানান, এশিয়াটিক কালো প্রজাতির একটি ভালুককে তিনটি বাচ্চাসহ সাতছড়ি, তেলমাছড়া ও সালটিলায় বনে বিচরণ করতে দেখা গেছে। বাচ্চা থাকা অবস্থায় ভালুক হিংস্র থাকে। এ কারণে বনরক্ষীরা খুব সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, জাতীয় উদ্যান ঘোষণায় তেলমাছড়া বনে বিপন্ন প্রজাতির ভালুকের সংখ্যা বাড়ছে।
কালো ভালুকের একটি দলের অভয়ারণ্যে বিচরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রাও। বনসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন হৃদয় বলেন, এখন সাতছড়ি ও তেলমাছড়া বনে ভালুকসহ বিলুপ্তপ্রায় অনেক বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে ভালুকের দেখা মেলায় মানুষ এখন ভয়ে আগের মতো বনে যায় না।
তেলমাছড়া বিট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, সম্প্রতি কিছু শ্রমিক পাহাড়ের বন থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে বাচ্চাসহ ভালুকটিকে দেখেছে। এ কারণে পর্যটকদের বনে প্রবেশ করতে সাবধানতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বনরক্ষীদের টহল কার্যক্রমকেও জোরদার করা হয়েছে।
মাধবপুরের তেলমাছড়ার বনে এশীয় ভালুকের উপস্থিতিকে সুখবর বলে অভিহিত করে বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা বলেন, এক সময় দেশের পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ করে সিলেট-চট্টগ্রামের মিশ্র চিরসবুজ পাহাড়ি বনের গহিন অরণ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভালুকের বাস ছিল। কিন্তু বাসস্থান ধ্বংস, খাদ্যের অভাব, বনে অনুপ্রবেশ ও শিকার এবং পাচারের কারণে প্রাণীটি বিলুপ্ত হতে বসেছে। যদিও গহিন বনে কিছু ভালুক এখনও টিকে আছে। তেলমাছড়া ও সাতছড়ি, রঘুনন্দন বনে বাচ্চাসহ ভালুকের দেখা মেলা জীববৈচিত্র্যের জন্য ভালো সংবাদ।