রাখাইনে সহায়তা পাঠাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন: জাতিসংঘ মুখপাত্র
Published: 30th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পাঠানোর আগে উভয় দেশের সরকারের সম্মতি প্রয়োজন। সোমবার বাংলাদেশে জাতিসংঘের এক মুখপাত্র সমকালকে এ কথা বলেন।
মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘের আইনি বাধ্যবাধকতা আছে যে, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের অনুমতি ছাড়া সীমান্ত পেরয়ে কোনো মানবিক সহায়তা পাঠানো যাবে না।
রোববার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের রাখাইনের মধ্যে একটি মানবিক করিডোর স্থাপনে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মার্চ কিংবা এপ্রিলে রাখাইন রাজ্যে দুর্ভিক্ষ আসতে পারে– এমন শঙ্কা থেকে সেখানে মানবিক সহায়তা দিতে বাংলাদেশের কাছে করিডোর চেয়েছিল সংস্থাটি। এ করিডোর ব্যবহারে কিছু শর্ত মানতে হবে।
এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষে রাখাইনে হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং সেখানে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ এখনও অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। সবমিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তত ১৩ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটরের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে জাতিসংঘ। রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যেন রোহিঙ্গাদের চাপ মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য জাতিসংঘ ও সহযোগীরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা পেতে কাজ করছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র খ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
‘আগে সাকিব ভাই করতেন, এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি’
আগের ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি। আজ সেঞ্চুরি করেছেন, বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
এমন অর্জনের পর দলও পেয়েছে ইনিংস ব্যবধানে জয়। স্বাভাবিকভাবেই মিরাজের উচ্ছ্বাসটা একটু বেশি। এর সঙ্গে আলোচনায় তাঁর ভূমিকাও।
একদিন সাকিব আল হাসানের ‘অলরাউন্ডার’ ভূমিকাটা নেবেন মিরাজ—ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বারবার কথাটা শুনতে হয়েছে মিরাজকেও। সেই একদিন কি এসে গেল?
সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের উত্তরে মিরাজ বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অর্জন অনেক বেশি, আমরা জানি। এই প্রশ্নটা সবাই দেখি করে। সাকিব ভাই সাকিব ভাইয়ের রোল প্লে করেছে। আমার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে বোলিং দিয়ে। পরে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছি। যেহেতু আমি ব্যাটিংটা পারি। চেষ্টা করেছি উন্নতি করার। এখন আমি দলকে আরও বেশি সাহায্য করতে পারি। আমি সেভাবে নিজেকে গড়ার চেষ্টা করেছি।’
এরপর মিরাজ তাঁর ভাবনাও স্পষ্ট করেন, ‘আমি নিজের মতো করেই খেলতে চাই।’
সাকিবের সঙ্গেও লম্বা সময় খেলেছেন মিরাজ, সব সংস্করণেই তাঁদের দেখা গেছে একসঙ্গে। কিন্তু সে সময়ের সঙ্গে এখনকার ভূমিকা অনেকটাই বদলে গেছে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে লম্বা সময় একসঙ্গে খেলেছেন সাকিব ও মিরাজ