খরচের মহোৎসব পালনের জন্য আগে বাজেট করা হতো: বাণিজ্য উপদেষ্টা
Published: 30th, April 2025 GMT
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘খরচের মহোৎসব পালনের জন্য আগে বাজেট প্রণয়ন করা হতো। অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে একটি বাস্তবভিত্তিক বাজেট তৈরি করা এবং বাজেটের ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। আমরা ব্যয়ভিত্তিক নয়, একটি লক্ষ্যভিত্তিক বাজেট তৈরির পরিকল্পনা করছি।’
আজ বুধবার আগামী অর্থবছরের বাজেট-সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই রাজধানীর এক হোটেলে এই সভার আয়োজন করে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, বিগত সরকারের আমলে নয়-ছয় প্রস্তাব দেশের অর্থনীতির কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে। আমি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছে, বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে ব্যয় করাটা যেন ঈদ পালন করার মতো ছিল। এমনভাবে ব্যয়ের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে যদি কর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা না হয়, তাহলে সমাজে দুর্বৃত্তায়ন হয়। দুর্বৃত্তরা ক্ষমতায় আসে এবং ক্ষমতায় এসে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে।
ব্যবসায়ীদের পরামর্শ নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে রপ্তানি বাণিজ্য ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে খুব বেশি কথা শুনতে পাই না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
প্রশাসনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে ববি শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) প্রশাসনকে প্রতীকী ‘মৃত’ ঘোষণা করে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় ক্যাম্পাসে কফিন মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন তারা। এ সময় তারা চার দফা দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি-দাওয়া না মেনে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। দাবি-দাওয়া পূরণ, হয়রানিমূলক মামলা ও সাধারণ ডায়েরি উঠিয়ে নিতেই তারা এ প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করছেন।
আরো পড়ুন:
আন্দোলন দমাতে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে জিডি করেছে ববি প্রশাসন
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার এবং তাকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলে পুনর্বহাল করা; আওয়ামী লীগ পদধারী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ; ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ; ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের দায় স্বীকার করে উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, “আমরা গত ১০ দিন ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিস্টদের বিদায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো দাবি মেনে নেয়নি। এমনকি গতকাল আমরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করলেও কেউ দেখা পর্যন্ত করতে আসেনি। সুতরাং আমরা মনে করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন মারা গেছে। সেজন্যই আমরা আজ প্রতীকী জানাজা ও কফিন মিছিল করেছি।”
শিক্ষার্থী নাজমুল ঢালি বলেন, “শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবী দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে জানিয়ে আসছি কিন্তু প্রশাসন এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি এবং তাদের এই নিস্তব্ধতার জন্য আজকে আমাদের এই কফিন মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে আমাদের নামে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা ও জিডি করে আন্দোলনকে দমন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে যা সম্পূর্ণ সৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। আমরা অতিশীঘ্রই এ প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করছি।”
ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী