পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়ায় পিটিয়ে খুন
Published: 30th, April 2025 GMT
পাড়ার গলিতে ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়ায় পিটিয়ে খুন করা হয়ছে এক যুবকে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ এপ্রিল কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরু জেলার কুডুপু এলাকার ভাত্রা কাল্লুর্তি মন্দিরের কাছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ এপ্রিল বিকেল ৩টা নাগাদ এলাকায় ক্রিকেট ম্যাচ চলছিল। টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল ১০টি দলের প্রায় শতাধিক খেলোয়াড়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ম্যাচ চলাকালে দুই ব্যক্তির মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। হঠাৎ করেই ওই ঘটনায় আরো একাধিক ব্যক্তি জড়িয়ে পড়েন। সেখানে অনেকেই লাঠিসোটা নিয়ে এক ব্যক্তির উপরে চড়াও হয়। নিহত ওই ব্যক্তি কেরলের বাসিন্দা এবং শ্রমিক ছিলেন। তবে এখনো পর্যন্ত পুলিশের পক্ষে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিকেল ৩টায় ওই ঘটনা ঘটলেও সাড়ে ৫টা নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের পর বিষয়টি জানতে পারে স্থানীয় পুলিশ। এই ঘটনায় কুলশেখর চৌকির বাসিন্দা দীপক কুমার নামে এক ব্যক্তি কিছু ছবি এবং ভিডিও সহ থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়েই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাতেই ওয়েনলক জেলা হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসে তাতে জানা যায়, অনবরতভাবে আঘাতের কারণে ওই ব্যক্তির শরীরের ভিতরে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়। তার পিঠ, নিতম্ব ও যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় ম্যাঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার অনুপম আগরওয়াল বলেন, “এটি অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে ম্যাঙ্গালুরুতে এই ধরনের ঘটনা দেখা যায়নি, ওই ব্যক্তির শরীরের আঘাতের পরিমাপও যথেষ্ট ভয়ংকর এবং সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।”
পুলিশ কমিশনার জানান, এখনো পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই কুডুপু, নির্মারগা, ভামঞ্জুর এবং আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই ঘটনার পিছনে ২৫ জন জড়িত রয়েছে।
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরা বলেন, “প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী আমরা যেটা জানতে পেরেছি, ওই ব্যক্তি একটি ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে স্লোগান শাউটিং করে ওঠেন, তাতেই সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে তার উপরে চড়াও হয়।”
শাহেদ/সুচরিতা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই ঘটন ঘটন য
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে পোশাক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
সাভারের আশুলিয়ায় রোকসানা (২০) নামে এক পোশাক শ্রমিককে গলাকেটে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মো. সোহাগকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রংপুরের মিঠাপুকুর থানাধীন ইমাদপুর তালপট্টি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাভারের নবীনগর র্যাব-৪ সিপিসি-২-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। র্যাব-৪, সিপিসি-২ সাভার ও র্যাব-১৩, সিপিসি-৩ গাইবান্ধা এর যৌথ দল সোহাগকে গ্রেপ্তার করে।
আরো পড়ু: পোশাক শ্রমিককে হত্যার পর লাশে আগুন দিয়ে পালিয়েছে স্বামী
আরো পড়ুন:
শামীম ওসমানের ছেলে অয়নের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নোয়াখালীতে গুলি করে হত্যা: থানায় মামলা, অস্ত্র উদ্ধার
নিহত রোকসানা শেরপুরের মো. আব্দুর রশিদের মেয়ে। তিনি আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার কালাম মাদবরের মালিকানাধীন ৫ তলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তিনি স্থানীয় ন্যাচারাল ইনডিগো লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।
র্যাব জানায়, বিয়ের পর থেকেই আসামি রোকসানাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। গত ২০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া নিহতের বড় বোন রওশনারা বেগমকে মোবাইলে ফোন করে রোকসানার মৃত্যুর খবর জানান।
পরিবারের সদস্যরা টঙ্গাবাড়ির ওই বাড়িতে গিয়ে নিহতের শরীরে বিভিন্ন দাগ, গলা কাটা ও আগুনে পোড়া দেখতে পান। এ ঘটনায় নিহতের বোন রওশনারা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্তে নেমে রংপুর থেকে আসামি মো. সোহাগকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মেজর জালিস মাহমুদ খান বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ