প্রায় ৯০ লাখ টাকার অ‌বৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৫টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৬ কোটি ৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের  অ‌ভি‌যো‌গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সা‌বেক মন্ত্রী ও সা‌বেক সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদের বিরু‌দ্ধে মামলা ক‌রে‌ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন (দুদক)।

বুধবার মামলা‌টি দা‌য়ের ক‌রেন দুদ‌কের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম। বিকা‌লে রাজধানীর সেগুনবা‌গিচা কার্যাল‌য়ে নিয়‌মিত প্রেস ব্রিফিং-এ দুদ‌কের মহাপ‌রিচালক আক্তার হো‌সেন এ তথ্য জানান।

তি‌নি ব‌লেন, ‘‘এম‌পি ও মন্ত্রী থাকাক‌লে ইমরান আহ‌মেদ ক্ষমতার অপব্যবহার ক‌রে মানি লন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে তা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে অপরাধ ক‌রে‌ছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অ‌ভি‌যোগ আনা হ‌য়ে‌ছে।’’

মামলার এজাহা‌রে বলা হয়, ইমরান আহমেদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখা এবং নিজের নামে ৫টি ব্যাংক হিসাবে (৬ আগস্ট, ২০০৮ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) মোট ৬ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

নঈমুদ্দীন/ঢাকা

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ত র ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

মোজাম্মেলের অবৈধ সম্পদ ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে সংস্থাটির নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আ ক ম মোজাম্মেল হক ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিনটি ব্যাংকে ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাক সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।”

মামলার এজাহারে বলা হয়, আ ক ম মোজাম্মেল হকের ঋণ বাদে স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১২ কোটি ৫৪ লাখ ২১ হাজার ২৮০ টাকা। পারিবারিক ব্যয় ১ কোটি ৬৩ লাখ ২৬ হাজার ২৭৭ টাকা। ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ১৩ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭ টাকা। তার মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয় হলো ২ কোটি ৮২ হাজার ৯০ লাখ ৬৩০ টাকা আর জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ হলো ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকা। এই টাকা তিনি ভোগদখলে আছেন। একই সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে পরিচালিত ৩টি ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়েছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭ টাকা। উত্তোলন করেছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭ টাকা। সন্দেহজনক মোট লেনদেন করেছেন ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাকা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মোজাম্মেলের অবৈধ সম্পদ ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, দুদকের মামলা