বিদ্যুতের জন্য ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের চুক্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ‘পাশ কাটিয়ে’ শুল্ক ও কর অব্যাহতির মাধ্যমে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ আমদানিতে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার শুল্ক ফাঁকির অনুসন্ধানে যাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, সবার বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে দুদক।

২০১৭ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করে। আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে এ কেন্দ্রে। এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ। প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুতের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ হচ্ছে। তবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার উচ্চ মূল্যের কারণে চুক্তি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আদানির সঙ্গে পিডিবির চুক্তি পর্যালোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত একটি কমিটি কাজ করছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে পোশাক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

সাভারের আশুলিয়ায় রোকসানা (২০) নামে এক পোশাক শ্রমিককে গলাকেটে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মো. সোহাগকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রংপুরের মিঠাপুকুর থানাধীন ইমাদপুর তালপট্টি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সাভারের নবীনগর র‌্যাব-৪ সিপিসি-২-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ সাভার ও র‍্যাব-১৩, সিপিসি-৩ গাইবান্ধা এর যৌথ দল সোহাগকে গ্রেপ্তার করে।

আরো পড়ু: পোশাক শ্রমিককে হত্যার পর লাশে আগুন দিয়ে পালিয়েছে স্বামী

আরো পড়ুন:

শামীম ওসমানের ছেলে অয়নের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নোয়াখালীতে গুলি করে হত্যা: থানায় মামলা, অস্ত্র উদ্ধার

নিহত রোকসানা শেরপুরের মো. আব্দুর রশিদের মেয়ে। তিনি আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার কালাম মাদবরের মালিকানাধীন ৫ তলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তিনি স্থানীয় ন্যাচারাল ইনডিগো লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।

র‍্যাব জানায়, বিয়ের পর থেকেই আসামি রোকসানাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। গত ২০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া নিহতের বড় বোন রওশনারা বেগমকে মোবাইলে ফোন করে রোকসানার মৃত্যুর খবর জানান। 

পরিবারের সদস্যরা টঙ্গাবাড়ির ওই বাড়িতে গিয়ে নিহতের শরীরে বিভিন্ন দাগ, গলা কাটা ও আগুনে পোড়া দেখতে পান। এ ঘটনায় নিহতের বোন রওশনারা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্তে নেমে রংপুর থেকে আসামি মো. সোহাগকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

মেজর জালিস মাহমুদ খান বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ