রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর পক্ষে প্রায় ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল উত্তর কোরিয়া। তাদের মধ্যে অন্তত ৬০০ জন প্রাণ হারিয়েছে। এমন দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক আইনপ্রণেতা। খবর রয়টার্সের।

স্থানীয় সময় বুধবার গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে আইনপ্রণেতারা বলেছেন, শেষ ছয় মাসে উত্তর কোরীয় বাহিনীর প্রায় চার হাজার ৭০০ সেনা হতাহত হয়েছেন। তবে এই একই সময়ের মধ্যে তাদের যুদ্ধ দক্ষতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতিও চোখে পড়েছে। 

তারা আরও দাবি করেন, সেনা মোতায়েনের বিনিময়ে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত কিছু সুবিধা নিয়েছে পিয়ংইয়ং। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের পাশাপাশি এবং কৃত্রিম গোয়েন্দা উপগ্রহের (স্পাই স্যাটেলাইট) জন্য কারিগরি সহায়তা।

চলতি সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো রাশিয়ার জন্য সেনা প্রেরণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে। তারা জানায়, সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের আদেশে মস্কোর পক্ষে কিয়েভের বিরুদ্ধে সেনা মোতায়েন করেছে তারা। রাশিয়াকে কুরস্ক অঞ্চলের অধিকার ফিরিয়ে দিতে তারা সহায়তা করছে।

উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েন এবং বিপুল গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার কারণে কুরস্ক অঞ্চলে বড় ধরনের সামরিক সুবিধা লাভ করেছে রাশিয়া। এতে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে থাকা দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়েছে।

উল্লেখ্য, তৃতীয় কোনও দেশে কর্মী পাঠাতে উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে অন্য দেশে কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে দেশটি বিপুল অর্থ উপার্জন করে বলে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করে থাকেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন স ন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ৬০০ সেনা নিহত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর পক্ষে প্রায় ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল উত্তর কোরিয়া। তাদের মধ্যে অন্তত ৬০০ জন প্রাণ হারিয়েছে। এমন দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক আইনপ্রণেতা। খবর রয়টার্সের।

স্থানীয় সময় বুধবার গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে আইনপ্রণেতারা বলেছেন, শেষ ছয় মাসে উত্তর কোরীয় বাহিনীর প্রায় চার হাজার ৭০০ সেনা হতাহত হয়েছেন। তবে এই একই সময়ের মধ্যে তাদের যুদ্ধ দক্ষতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতিও চোখে পড়েছে। 

তারা আরও দাবি করেন, সেনা মোতায়েনের বিনিময়ে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত কিছু সুবিধা নিয়েছে পিয়ংইয়ং। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের পাশাপাশি এবং কৃত্রিম গোয়েন্দা উপগ্রহের (স্পাই স্যাটেলাইট) জন্য কারিগরি সহায়তা।

চলতি সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো রাশিয়ার জন্য সেনা প্রেরণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে। তারা জানায়, সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের আদেশে মস্কোর পক্ষে কিয়েভের বিরুদ্ধে সেনা মোতায়েন করেছে তারা। রাশিয়াকে কুরস্ক অঞ্চলের অধিকার ফিরিয়ে দিতে তারা সহায়তা করছে।

উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েন এবং বিপুল গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার কারণে কুরস্ক অঞ্চলে বড় ধরনের সামরিক সুবিধা লাভ করেছে রাশিয়া। এতে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে থাকা দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়েছে।

উল্লেখ্য, তৃতীয় কোনও দেশে কর্মী পাঠাতে উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে অন্য দেশে কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে দেশটি বিপুল অর্থ উপার্জন করে বলে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করে থাকেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ